শেফার্ড-কিং-পুরানের নৈপুণ্যে ভারতকে সিরিজ হারাল ক্যারিবিয়ানরা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
১৪ ঘন্টা আগে
দুই ম্যাচ হেরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে থাকার পরও যদি ভারত সিরিজ জিতে যেতো, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ইতিহাস তৈরি হতো। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার ভারতকে এই ইতিহাস সৃষ্টি করতে দিলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোমারিও শেফার্ডের দারুণ বোলিংয়ের পর ব্রেন্ডন কিং এবং নিকোলাস পুরানের দারুণ দুটি ইনিংসে শেষ ম্যাচে সফরকারীদের আট উইকেটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জিতে আগে ব্যাটিংই বেছে নেয় হার্দিকের ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে দলটি। যদিও শুরুটা ভালো ছিল না ভারতের। স্পিনার আকিল হোসেনের দাপটে মাত্র ১৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় তারা।
চার বলে পাঁচ রান করে কট এন্ড বোল্ড হয়ে বিদায় নেন আগের ম্যাচ জয়ের নায়ক ইয়াশভি জায়সাওয়াল। আর আগের ম্যাচের আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান শুভমান গিল ৯ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে।

তারপর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন তিলক ভার্মা। যদিও ১৮ বলে ২৭ রা করে রস্টন চেজের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তিনি। গায়ানার প্রভিডেন্স ও যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে এ দিন ব্যর্থ হন সাঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ১৩) এবং হার্দিকও (১৮ বলে ১৪)।
ভারতের চাকরি হারিয়ে কলকাতায় অভিষেক নায়ার
১৫ ঘন্টা আগে
ভারতের হয়ে প্রায় একাই লড়েছেন সূর্যকুমার। শেষ পর্যন্ত তার ৪৫ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহের দিকে যায় ভারত। অবশ্য ১৮তম ওভারে সূর্যকুমারের বিদায়ের পর ভারত শেষ দুই ওভারে তোলে ২৪ রান।
শেষ ওভারে মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল মিলেই তোলেন ১৬ রান। ১০ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন অক্ষর। ইনিংসের শেষ বলটায় ক্রিজে এসেই চার মারেন মুকেশ। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে শেফার্ড ৩১ রানে চার উইকেট নেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটি ছুঁয়ে ফেলে মাত্র ১৮ ওভারেই। রান তাড়ায় দলটির জয়ের মূল নায়ক কিং। ক্যারিবীয় এই ওপেনার ৫৫ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এটা ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ওভারে আর্শদিপ সিংয়ের বলে কাইল মেয়ার্স ৫ বলে ১০ রান করে ফিরে গেলে কিংয়ের সঙ্গে যোগ দেন পুরানও। কিংয়ের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১০৭ রানের।
জুটিতে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হওয়া পুরানের অবদান ৩৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। তিলকের বলে পুরান ফিরে গেলে কিংয়ের সঙ্গে বাকি কাজটা সারেন শাই হোপ। ১৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।