এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যুবাদের শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড ঘোষণা
১৫ ঘন্টা আগে
এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের দলের নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছে তাকে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব নিয়ে চমক দেখানোর সুযোগ ছিল না বিসিবির। কয়েকদিন আগেই বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সাকিবের পাশাপাশি লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজের নামও আছে।

তাদের মধ্য থেকেই এশিয়া কাপের জন্য অধিনায়ক বেছে নেয়ার কথা ছিল পাপনের, এমনটাই জানিয়েছেন জালাল। এবার সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করেই তাকে অধিনায়কত্ব দিচ্ছে বিসিবি। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের মাঝে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টের পাশাপাশি ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের অধিনায়ক তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে আরো ২ বছর খেলে অবসরে যেতে চান সাকিব
১৬ এপ্রিল ২৫
পাপন বলেন, 'এশিয়া কাপ তারপরে বিশ্বকাপ এত কম সময়ের মধ্যে আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে সহজ এবং অভিয়াস চয়েজটাই হচ্ছে সাকিব আল হাসান। আরেকটা অটো চয়েজ আছে ও না খেললে সাকিব আল হাসান না খেললে সহ-অধিনায়ক যে আছে, সে হবে; লিটন দাস। আরও নাম এসেছে। যেমন মেহেদী হাসান মিরাজ, লম্বা সময় যদি আমরা চিন্তা করি ভবিষ্যতে কী হবে। কারণ এখন তো ধরেন মুশফিক করছে না, তামিমও ছেড়ে দিলো, সাকিবও যদি কখনো ছেড়ে দেয় তখন কী হবে। ওরকম লম্বা সময় যখন চিন্তা করবো তখন আরও নাম আসবে।'
'আমার সঙ্গে কথা হয়নি কখন ওরা দল ঘোষণা করবে। আমার জানা মতে কালকে ওদের দল ঘোষণা করার কথা। ওদেরও একটা সমস্যা হয়েছে যে যতক্ষণ অবধি না জানে অধিনায়ক কে হচ্ছে। তার সঙ্গে কথা না বলে স্কোয়াড দিয়ে দেওয়া এটাও আবার তাদের জন্য একটা অসুবিধা। সাধারণত এখানে যেটা করি। বড় তালিকা তৈরি করে নির্বাচকরা। তারা তখন কোচ ও অধিনায়কের কাছে পাঠায়। তাদের মতামত নেয়। নিয়ে সবাইকে কাভার করে একটা স্কোয়াড ঘোষণা করে। এখানে সমস্যা হয়েছে অধিনায়কের সঙ্গে ওরা কথা বলতে পারছিল না, আবার কোচও কালকে এসেছে। আমার ধারণা কালকে দিয়ে দেবে।'
গত মাসেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে অবসর থেকে ফিরলেও অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ফলে বড় দুটি টুর্নামেন্টের আগে অধিনায়ক শূন্যতায় পড়তে হয় বাংলাদেশকে।