আইপিএলের পারফরম্যান্সই আমাকে এখানে এনেছে: তিলক

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তিলক-হার্দিকের ঝড় থামিয়ে ওয়াংখেড়েতে জিতল বেঙ্গালুরু
৭ এপ্রিল ২৫
দেখতে হালকা পাতলা হলেও বাঘা বাঘা বোলারদের বিপক্ষে দারুণ সব ছক্কা মারতে পারেন তিলক ভার্মা। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আলো ছড়িয়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। নিজের প্রথম দুই ম্যাচে প্রত্যাশাও মিটিয়েছেন তিনি। ভারতের জার্সি গায়ে জড়ানোর জন্য আইপিএলের পারফরম্যান্সকে নিয়ামক হিসেবে দেখছেন তিলক।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তিলকের গড়টা চোখে পড়ার মতো। ২৫ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৫৬.১৮ গড়ে করেছেন ১ হাজার ২৩৬ রান। ২০২২ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে অভিষেক হয় তিলকের। টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম আসরে ৩৬.০৯ গড়ে করেছিলেন ৩৯৭ রান। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩১.০২।

পরের মৌসুমে সবদিকেই উন্নতি হয় তিলকের। চোটের কারণে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে না পারলেও ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ৪২.৮৮ স্ট্রাইক রেটে বাঁহাতি এই ব্যাটার করেছেন ৩৪৩ রান। ২০২৩ আইপিএলে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৪.১১। এমন পারফরম্যান্সের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পড়ে তিলকের।
‘স্টার্ক নয়, আবেশ খান হতে চাই’
১ ঘন্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটাও দারুণ করেন তরুণ এই ব্যাটার। নিজের খেলা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে আলজারি জোসেকের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করে ছক্কা মারেন। প্রথম ম্যাচে ৩৯ রান করা তিলক পরের ম্যাচে করেছেন ৫১ রান। আইপিএলের পারফরম্যান্স যে তাকে এখানে নিয়ে এসেছে সেটা অকপটে স্বীকার করেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তিলক বলেন, ‘সবাই জানে যে আইপিএলের দুই মৌসুম আমার টার্নিং পয়েন্ট। আইপিএলের পারফরম্যান্সের কারণে আমি এখানে আছি। আমি সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছি এবং আমি যেটা করছি সেটা করে যেতে চাই।’
মুম্বাইয়ে রোহিত শর্মার অধীনে খেলেছেন তিলক। যেখানে তার কাছে থেকে ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ পেয়েছেন তিনি। এদিকে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও সমানতালে পারফর্ম করতে পারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রোহিত তাকে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটার বলায় আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান ২০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার।
তিলক বলেন, ‘আমার প্রথম আইপিএল মৌসুমে সে (রোহিত শর্মা) বলেছিল আমি তিন ফরম্যাটের খেলোয়াড় এবং এটা আমাকে ব্যাপকভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। এটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তারপর সে বলেছে আমাকে ধারাবাহিক হতে এবং সেটার জন্য মাঠের বাইরে ডিসিপ্লিন হওয়া জরুরি। আমি সেই পরামর্শগুলো নিয়েছি এবং সে যা বলেছে তারা অনুসরণ করছি।’