ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই, ভারত শূন্য
ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মার্করাম-পুরানের হাফ সেঞ্চুরির পর লক্ষ্ণৌকে জেতালেন বাদনি
১২ এপ্রিল ২৫
তখনও প্রথম ওভারের খেলা চলছে, ইনিংসের প্রথম চার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস। তাতে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ক্যারিবীয়রা। নিকোলাস পুরান টেনে তুললেও শেষদিকে এসে পা হড়কিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গেলেও শেষ অবদি ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রভম্যান পাওয়েলের দল। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ইনিংসের প্রথম বল, হার্দিক পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে কাভার ড্রাইভ করেন ব্রেন্ডন কিং। বলটা বেরিয়ে গেলে দারুণ এক চার হতে পারতো। তবে সেটা হতে দেননি সূর্যকুমার যাদব। একটু ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে সবাইকে যেন অবাক করে দিলেন তিনি। ব্রেন্ডন কিং ফিরলেন শূন্য রানে।

তিন বল পরই নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হার্দিকের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে কভার পয়েন্ট দিয়ে খেলেছিলেন চার্লস। তবে তা সরাসরি তিলক ভার্মার হাতে পাড়ি জমায়। চার্লস ২ রানে ফিরলে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ক্যারিবীয়দের টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরান।
জিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
২০ ঘন্টা আগে
যদিও তাদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি আর্শদীপ সিং। বাঁহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন মেয়ার্স। আম্পায়ার আউট দিলেও ইনসাইড এজ হয়েছে ভেবে রিভিউ নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে শেষরক্ষা হয়নি ১৫ রান করা মেয়ার্সের। এরপর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন পুরান ও পাওয়েল। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৭ রান।
পাওয়েলকে ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন হার্দিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ২১ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখেছিলেন পুরান। হাফ সেঞ্চুরির পর চড়াও হতে গিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া পুরান শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৪০ বলে ৬৭ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলে।
পুরান ফেরার পর ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে। মাত্র তিন রানের ব্যবধানে ফিরে গেছেন রোমারিও শেফার্ড, জেসন হোল্ডার এবং শিমরন হেটমায়ার। তবে আকেল হোসেন ও আলজারি জোসেফ মিলে ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। ভারতের হয়ে হার্দিক তিনটি এবং যুবেন্দ্র চাহাল দুটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে ভারত। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৫১ রান করেছেন তিলক। এ ছাড়া ইশান কিশান ২৭ এবং হার্দিক ২৪ রান করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আকেল, আলজারি ও শেফার্ড।