আমি বিসিএস ক্যাডার নই যে অন্য চাকরি করব: সাইফউদ্দিন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চোটকে সঙ্গী করে চলেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বিশেষ করে, পিঠের চোট যেন তার পিছুই ছাড়ছে না। সবশেষ গত মে মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে বোলিংয়ের সময় পাওয়া চোট এই অলরাউন্ডারকে রেখেছে মাঠের বাইরে।
এরপর প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও মাঠে ফেরা হয়নি সাইফউদ্দিনের। তবে এবার শুরু হতে যাচ্ছে এই অলরাউন্ডারের মাঠে ফেরার লড়াই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কাতার পাঠাচ্ছে বোর্ড। সব ঠিক থাকলে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় কাতারের বিমান ধরবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন বিসিবির চিকিৎসক মঞ্জুর হোসেন চৌধুরি।
বাংলাদেশের জার্সিতে সাইফউদ্দিনকে শেষবার মাঠে দেখা গিয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। এরপর অবশ্য ঘরোয়া লিগেও খেলেছেন। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনীর হয়ে ১২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বল হাতে ১৯ উইকেট এবং আর ব্যাটে করেছেন ১১২ রান।

তাই এবার নতুন লড়াই শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমে বললেন, ফিরে আসার অভিযানে হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। সাইফউদ্দিন বলেন, 'এটা (ক্রিকেট) আমার পেশা। সত্যি বলতে, আমি বিসিএস ক্যাডার নই যে অন্য কোনো চাকরি করব (হাসি)। যত দিনই খেলতে হবে, লড়াই করে খেলতে হবে। এটা আমার রুটি-রুজি। ক্রিকেট আমার সব কিছু। এটার জন্য যতটুকু করা দরকার, সব সময় করে এসেছি এবং সবসময় করব।'
সাইফউদ্দিনের সঙ্গে দুই ক্রিকেটারকে কাতার পাঠাচ্ছে বিসিবি। এরা হলেন- অভিষেক দাস ও আশিকুর জামান। তারাও ইনজুরিতে ভুগছেন। কাতারে এসপেটার’ নামের এক স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে তিন ক্রিকেটারের।
রোববারই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাদের। তিন পেসারের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর ওই চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী এগোবে পরবর্তী চিকিৎসা। তবে মাঠে ফিরতে কত দিন লাগবে, সেটি এখনই জানার সুযোগ নেই।
মাঠে ফিরলেও ভারত বিশ্বকাপে সাইফের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অথচ ইংল্যান্ডে গত বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথীদের একজন। সাত ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।
আসন্ন বিশ্বকাপে না খেলতে পারার আক্ষেপ নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, 'অবশ্যই! খারাপ কেন লাগবে না। এখানে আমাদের সব কলিগ, বন্ধুবান্ধব, ছোট ভাই সবাই ক্যাম্প করছে, ফিটনেস টেস্ট দিচ্ছে, আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে এগুলো দেখছি।'
'খারাপ তো অবশ্যই লাগবে। মাঠের খেলোয়াড় কিন্তু মাঠে আসতে পারছি না। তবু এখানে এলে ওদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা- এসব করে সময়টা পার করি। যখন আবার সুস্থ হবো, তখন আবার ওদের একটা অংশ হবো' যোগ করেন তিনি।