৫৪.৪ ওভারে অল আউট ইংল্যান্ড, খানিকটা এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উইলিয়ামসনের ফ্যাব ফাইভে গিল-জয়সাওয়াল
১৮ এপ্রিল ২৫
অ্যাশেজ জেতার সুযোগ না থাকলেও ওভালে জিতলে অন্তত ড্র করতে পারবে ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক-মঈন আলীরা ইংলিশদের রেখেছিলেন সেই পথেই। তবে মিচেল স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ে হঠাৎই ছন্দপতন হয় স্বাগতিকরাদের। ১৮৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড নিজেদের সপ্তম উইকেট হারিয়েছে ২১২ রানে। শেষ দিকে ক্রিস ওকস, মার্ক উডদের প্রচেষ্টায় প্রথম ইনিংসে ২৮৩ রান তুলতে পেরেছে ইংলিশরা। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৬১ রান। এখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে ২২২ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
চলতি অ্যাশেজের প্রথম চার ম্যাচেই টস হেরেছিলেন প্যাট কামিন্স। কেনিংটন ওভালে অবশ্য ভাগ্যপরীক্ষায় জিতে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। এদিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ডকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন বেন ডাকেট এবং জ্যাক ক্রলি। তাদের দুজনের ব্যাটে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা। তবে বিপত্তি বাঁধান মিশেল মার্শ।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিং এসেই অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। মার্শের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে গ্ল্যান্স করতে চেয়েছিলেন ডাকেট। বল শরীর থেকে একটু দূরে হওয়ায় ব্যাটে ঠিকঠাক করতে পারেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়া আবেদন করলেও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি। পরবর্তীতে রিভিউ নিয়ে ৪১ রান করা ডাকেটকে ফিরিয়েছেন মার্শ।

এর আগে অবশ্য ব্যক্তিগত ৩০ রানে কামিন্সের বলে ডেভিড ওয়ার্নার ক্যাচ ছাড়লে জীবন পান ডাকেট। জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। এদিকে মার্শের বলে জীবন পাওয়া ক্রলিও বেশিক্ষণ ইংল্যান্ডকে টানতে পারেননি। পরের ওভারে কামিন্সকে উইকেট দিয়েছেন ক্রলি। ডানহাতি এই পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছন এই ব্যাটার। আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করা ক্রলি এদিন আউট হয়েছেন ২২ রানে।
‘স্টার্ক নয়, আবেশ খান হতে চাই’
৯ ঘন্টা আগে
চারে নেমে দ্রুতই ফিরেছেন জো রুট। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড আউট হয়েছেন ৫ রান করা রুট। ৭৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে এরপর টেনেছেন মঈন আলী ও হ্যারি ব্রুক। দিনের প্রথম সেশনে ইংলিশদের আর কোন উইকেট হারাতে দেননি তারা দুজন। প্রথম সেশনে ৩ উইকেটে ১৩১ রান তোলে ইংল্যান্ড।
লাঞ্চ থেকে ফিরেই ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দারুণ ব্যাটিং করা ব্রুক। এদিকে দ্বিতীয় সেশনের শুরুর দিকেই কুঁচকিতে চোট পান মঈন। খানিকটা খুঁড়িয়ে হাঁটলেও চোট নিয়েই ব্যাটিং করেছেন তিনি। চোট পাওয়ার পর বাউন্ডারি মারায় মনোযোগ দেন মঈন। যদিও তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি টড মার্ফি। অজি স্পিনারের খানিকটা দ্রুতগতির বলে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন মঈন।
ম্যানচেস্টারে হাফ সেঞ্চুরি করা মঈন ফিরেছেন ৩৪ রানের ইনিংস খেলে। এদিকে বেন স্টোকসকে দাঁড়াতেই দেননি মিচেল স্টার্ক। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টোকসকে বোল্ড করে বিদায় করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। স্টার্কের আনপ্লেএবল বল যেন চোখেই দেখেননি ৩ রান করা ইংলিশ অধিনায়ক। দ্রুত আউট হয়েছেন জনি বেয়ারস্টোও। হ্যাজেলইডের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৪ রান করা এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন ব্রুক। তবে তরুণ এই ব্যাটারকে সেঞ্চুরি পেতে দেননি স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ব্রুক। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় এজ হয়ে সেকেন্ড স্লিপে থাকা স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৯১ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। শেষ দিকে ক্রিস ওকস ৩৬ এবং মার্ক উড ২৮ রান করে ইংল্যান্ডের রান প্রায়শ তিনশতে নিয়ে গেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চার উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। শেষ বিকেলে ইংল্যান্ডের ২৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে মাত্র একটি উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দিনের প্রায় ৯ ওভার বাকি থাকতে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান ওকস। ডানহাতি এই পেসারের বলে ক্রলিকে উইকেট দিয়েছেন ২৪ রান করা ওয়ার্নার। প্রথম দিন শেষে খাওয়াজা ২৬ এবং মার্নাস ল্যাবুশেন অপরাজিত ২ রানে।