ভারতকে হারিয়ে আবারও ইমার্জিং এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের চাকরি হারিয়ে কলকাতায় অভিষেক নায়ার
১৯ এপ্রিল ২৫
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার ও মানব সুথারদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। অথচ তারাই কিনা ফাইনালে ভারতের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তৈয়ব তাহির, শাহিবজাদা ফারহানরা। ৩৫৩ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে মাত্র ২২৪ রানে অল আউট হয়েছে ইয়াশ ধুলের দল। ভারতকে ১২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান। সবশেষ আসরেও শিরোপা জিতেছিল তারা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৪ রান। ইনিংসের নবম ওভারে এসে উইকেট হারায় ভারত। ২৯ রান করা সুদর্শনকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আরশাদ ইকবাল।

ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নিকিন জোস। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের লেংথ ডেলিভারিতে হারিসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১১ রান করা এই ব্যাটার। শুরু থেকে দলকে ভালোভাবেই টানছিলেন অভিষেক।
নারী বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশকে যা করতে হবে
১৮ এপ্রিল ২৫
হাফ সেঞ্চুরির পর তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি সুফিয়ান মুকিম। বাঁহাতি এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পয়েন্টে থাকা তৈয়বকে ক্যাচ দিয়েছেন ৬১ রান করা অভিষেক। এরপর অধিনায়ক ধুল ছাড়া আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করা ধুলকে ৩৯ রানে বিদায় করেছেন সুফিয়ান। রিয়ান পরাগ, নিশান্থ সিন্ধু, ধ্রুব জুরেলরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন সুফিয়ান। এ ছাড়া আরশাদ, মেহরান এবং ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৫২ রানের বড় পুঁজি পায় পাকিস্তান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তৈয়ব। এ ছাড়া সায়েম আইয়ুব ৫৯, শাহিবজাদা ৬৫, ওমাইর ইউসুফ ৩৫ এবং মুবাশির খান ৩৫ রান করেছেন। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাঙ্গারগেকার এবং পরাগ।