আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন থিরিমান্নে

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যুবাদের শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড ঘোষণা
১৯ এপ্রিল ২৫
লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলে নেই লাহিরু থিরিমান্নে। ফেরার সম্ভাবনা যে ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল সেটা বুঝতে পেরেই হয়ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক। অবসরের কারণ উল্লেখ না করলেও ধোঁয়াশা রেখে গেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
২০১০ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় থিরিমান্নের। এরপর জাতীয় দলের হয়ে ১২৭ ওয়ানডেতে ৩ হাজার ১৯৪ রান করেছেন বাঁহাতি এই ক্রিকেটার। ৪ সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছেন ২১টি হাফ সেঞ্চুরি। এদিকে ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় থিরিমান্নের।

৪৪ টেস্ট খেলে ৩ সেঞ্চুরি, ১০ হাফ সেঞ্চুরি এবং ২৩.৪৩ গড়ে ২ হাজার ৮৮ রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২৬ টি-টোয়েন্টিতে মোটে ২৯৬ রান করেছেন থিরিমান্নে। দীর্ঘ ১২ বছর শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ফেসবুক পোস্টে থিরিমান্নে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য এক পরম সম্মানের ব্যাপার। এই খেলাটি আমাকে বছরের পর বছর ধরে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে, আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। খেলোয়াড় হিসেবে আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, খেলাকে সম্মান করেছি এবং আমি আমার মাতৃভূমির প্রতি সততা ও নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি।’
শ্রীলঙ্কার হয়ে সবশেষ ২০১৯ সালে ওয়ানডে খেলেছেন থিরিমান্নে। সবশেষ চার বছরে ওয়ানডে দলের জার্সি গায়ে জড়াতে না পারা এই ক্রিকেটার টেস্টেও ছিলেন ব্রাত্য। ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটি হয়ে আছে তার শেষ টেস্ট। এদিকে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বছর সাতেক আগে ২০১৬ সালে।
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে না থাকায় চাপা কষ্ট আছে সেটা খানিকটা অনুমেয়। তবে অবসরের কারণগুলো উল্লেখ করতে পারছেন না জানিয়ে থিরিমান্নে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। অনেক অপ্রত্যাশিত কারণ, যা আমাকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে, আমি সেসব এখানে উল্লেখ করতে পারছি না।’
১২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এসএলসির সদস্য, কোচিং স্টাফ, সতীর্থ, ফিজিও, প্রশিক্ষক, বিশ্লেষক, সাংবাদিক এবং যেসব সমর্থকরা তার ক্যারিয়ারে ভূমিকা পালন রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।