আফিফ-হৃদয়দের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন সাকিব

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশে এমন গতিময় উইকেট আগে দেখেননি জিম্বাবুয়ের কোচ
১০ ঘন্টা আগে
কাঁধের চোটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন রনি তালুকদার। তার বিকল্প হিসেবে দলে নেয়া হয় আফিফ হোসেনকে। যদিও ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী কে হবেন তা নিয়েই ছিল জল্পনা কল্পনা।
আফগানিস্তান ১১৯ রানের লক্ষ্যে দেয়ার পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই আফিফকেই ওপেনিংয়ে নামায় বাংলাদেশ। যদিও এর আগে জাতীয় দলের হয়ে ওপেনিং করার কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না তার।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন তিনি এবং দলের কোচিং স্টাফরা এই ম্যাচে তরুণদের সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট চলে গেলে সাকিবকে ব্যাটিংয়ে নামতেই হয়েছে।

যদিও ওপেনিংয়ে লিটন ও আফিফের ৬৭ রানের জুটিই বাংলাদেশের ম্যাচের সুর বেধে দিয়েছিল। সাকিব আরও জানিয়েছেন এই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই দলের ক্রিকেটাররা এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে খেলবেন বলে আশাবাদী তিনি।
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
১৪ মার্চ ২৫
দলের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সাকিব বলেছেন, 'আজ এমন একটা দিন ছিল আমি এবং কোচিং স্টাফরা তরুণদের সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে নামতেই হলো। এই স্কোয়াডের বেশিরভাগ ছেলেরাই ওয়ানডে খেলছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারবে।'
লিটন ও আফিফের দারুণ শুরুর পর মুজিব উর রহমানের জোড়া আঘাতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর শান্তও হাল ধরতে পারেননি। তবে সাকিব ও তাওহীদ হৃদয় মিলে বাংলাদেশকে টানেন।
হৃদয় ১৯ রান করে ফিরলেও সাকিব ১৮ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে বল হাতে ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সে ম্যাচ ও সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি।
উইকেটের আচরণ নিয়ে সাকিব বলেন, 'আমরা মাঝে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়েছে। এমন উইকেটে স্পিনারদের বল করা কঠিন ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল এই রান তাড়া করতে পারবো। দিনের বেলায় এখানে ভালো সিম হচ্ছিল এবং বাউন্স পাচ্ছিল পেসাররা।'