৭ মাস ধরে স্ত্রী হিলির ব্যাট দিয়ে খেলছেন স্টার্ক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০৩২ অলিম্পিকের পর ভেঙে ফেলা হবে গ্যাবা স্টেডিয়াম
২৫ মার্চ ২৫
গত সাত মাস স্ত্রী অ্যালিসা হিলির ব্যাট ব্যবহার করছেন মিচেল স্টার্ক। এই ব্যাট দিয়েই খেলেছিলেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে, এমনকি খেলছেন অ্যাশেজেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। ক্রিকেট ইতিহাসের স্টার্কই সম্ভবত প্রথম খেলোয়াড়, যিনি নিজ স্ত্রীর ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ব্যাটিং করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
শুধু এবারই নয় এর আগেও স্ত্রী হিলির ব্যাট ব্যবহার করেছেন বলে জানালেন স্টার্ক। সাধারণত নারী ক্রিকেটাররা একটু হালকা ব্যাট দিয়েই খেলতে ভালোবাসেন। হিলিও এর ব্যতিক্রম নন। এই কারণেই মূলত হিলির ব্যাটের প্রেমে পড়েছেন স্টার্ক।
ব্যাটের রহস্য খোলাসা করে স্টার্ক বলেছেন, 'গত বছরের শেষ দিকে অ্যানরিক নরিকিয়া (সাউথ আফ্রিকান বোলার) বেশ দ্রুত বোলিং করছিল, তাই আমি একটি হালকা ব্যাট ব্যবহার করেছি। অবশ্য সে (হিলি) জানত না যে এটা আমি নিয়েছিলাম, তাই সব ঠিক ছিল।'

কীভাবে হিলির ব্যাট স্টার্কের হাতে এলো এই বিষয়েও খোলাসা করেছেন তিনি। এই অজি পেসার বলেন, 'আমি বাড়িতে কয়েকটি ক্রিকেট ব্যাগ পরিষ্কার করছিলাম, যখন সে (ক্রিকেট ম্যাচের জন্য) সফরে ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি জানো এই ব্যাগে যে তিনটি ব্যাট আছে। সে বলল 'না আমি জানি না।' তারপর আমি বললাম এখন সেখানে দুটি ব্যাট আছে, অন্যটি আমার ব্যাগে।'
‘স্টার্ক নয়, আবেশ খান হতে চাই’
২০ ঘন্টা আগে
স্ত্রীর ব্যাট দিয়ে অবশ্য এখন পর্যন্ত ভালো সময়ই কাটিয়েছেন এই অজি ব্যাটার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে হিলির এই ব্যাট দিয়েই ৪১ রান করেছিলেন, যা গত চার বছরের মধ্যে টেস্টে তার সর্বোচ্চ রান। সুতরাং ব্যাট পরিবর্তন করে বেশ লাভবানই হয়েছেন স্টার্ক। এমনকি চলতি অ্যাশেজে এই ব্যাট দিয়েই লর্ডসে চতুর্থ ইনিংসে ইংলিশদের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে, ৭২টি বলের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টার্ক।
দুজনই কুকাবুরা ব্যাট ব্যবহার করে থাকেন। এর আগে ২০১৬-১৭ সালের উমেন্স বিগ ব্যাশে স্টার্কের ব্যাট ব্যাবহার করেছিলেন হিলি। যেখানে সিডনি থান্ডার্সের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৫৫ রান এবং পার্থের বিপক্ষে ৩১ বলে ৪৬ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন।
মূলত এই ধারণা থেকেই হিলির ব্যাট দিয়ে খেলার সাহস পেয়েছিলেন স্টার্ক। তিনি বলেন, 'এটা শুরু হয়েছে, কারণ কয়েক বছর আগে সে একবার আমার ব্যাট দিয়ে খেলেছিল। সে ব্যাটের হ্যান্ডলটির শেষ দিকে হালকা কেটে নিয়েছিল, ফলে সেটা আমার জন্য আর উপযোগী ছিল না হিলির ব্যাটে এই রকম কিছু করার প্রয়োজন ছিল না, শুধুমাত্র একটি অতিরিক্ত গ্রিপ যোগ করেছি, যেটা ব্যাটটিকে আমার খেলার উপযোগী করে তুলে।
৩৩ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার চলতি সপ্তাহে নিজের স্ত্রী হিলির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন। তৃতীয় টেস্টে হারের পর তিন-চার দিনের লম্বা ছুটিতে আছে অজি ক্রিকেটাররা। সেই ফাকেই নিজের জীবনসঙ্গীকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া এই অজি ক্রিকেটার।