আরিফুল-জেমসের নৈপুণ্যে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
৮ ডিসেম্বর ২৪
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাউথ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল আহরার আমিনের দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৬৮ রান তুলে বাংলাদেশের যুবারা। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তোলে ৬০ রান। ৩৭ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলীয় ৮১ রানে বিদায় নেন তিনে নামা আশিকুর রহমান শিবলী (১৪)। দলীয় একশ রান পার করার পর বিদায় নেন আদিল বিন সিদ্দিক। এই ওপেনারের ব্যাটে আসে ৫৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস। এরপরের ওভারেই ফিরে যান আমিন।

তিন বল খেলে রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তারপর দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ শিহাব জেমস। দুজন মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। ৬০ বলে ৪৮ রান করে আরিফুল ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
এরপর জাকারিয়া ইসলাম শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন জেমস। এই দুজন দলের রানের খাতায় যোগ করেন আরও ৬৫ রান। ৭১ বলে ৬৯ রান করেন জেমস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মারে।
তারপর শান্তর ৩৩ বলে অপরাজিত ২৮ এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বির ১২ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সফরকারী বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন কিউইনা মাফাকা এবং সিফো পটসান।
খুলনায় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৯ ওভারে ২৫৪ রানে অলআউট হয় সাউথ আফ্রিকা যুবদল। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড টিজার। এ ছাড়া দেওয়ান মারাইস এবং অলিভার হোয়াইটহেড দুজনই ৩৮ রান করে করেন।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি। দুটি করে উইকেট নেন রোহানাত বর্ষণ এবং আরিফুল ইসলাম। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে দল জেতানোয় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন আরিফুল।