‘বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জেতার সব রসদ আছে’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১৯৯৬ সালে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে রীতিমতো গড়পড়তা এক দল নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ২০২৩ সালের ভারত বিশ্বকাপে অপেক্ষাকৃত ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে শিরোপা জিততে পারে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছেন ৯৬'র বিশ্বকাপজয়ী লঙ্কান দলের খেলোয়াড় হাশান তিলকারত্নে।
বাংলাদেশেও অনার্স বোর্ড চান মিরাজ
৪ ঘন্টা আগে
বর্তমানে বাংলাদেশ নারী দলের হেড কোচের দায়িত্বে আছেন তিলকারত্নে। তার মতে, ৯৬'র বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে বেশ মিল আছে বাংলাদেশের। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত সিরিজকে সামনে রেখে চলছে নারী দলের অনুশীলন। অনুশীলনের ফাঁকে রোববার গণমাধ্যমের সামনে এমনটা জানান তিলকারত্নে।
তিনি বলেন, 'অবশ্যই (বাংলাদেশ ফাইনালে যেতে পারে)। আপনি যদি নাম দেখেন তাহলে তারা শিরোপার অন্যতম দাবিদার। বিশ্বকাপ জেতার সব রসদ আছে তাদের। তাদেরকে নিজেদের ভেতর বিশ্বাস আনতে হবে। একে অন্যকে সমর্থন যোগাতে হবে।'

১৯৯৬ সালেও বিশ্বকাপ হয়েছিল উপমহাদেশের মাটিতে। এবারের বিশ্বকাপও ভারতের মাটিতে। কন্ডিশনে মিল থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবেন তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা, এমনটাই অনুমেয়। সাকিব-তামিম এবং মুশফিকুর রহিমদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের আলাদাভাবে মূল্যায়ন করছেন তিলকারত্নে।
বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচের পদ ছাড়লেন তিলকারত্নে
৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
নারী দলের হেড কোচ আরও বলেন, '১৯৯৬ সালে উপমহাদেশে খেলা হয়েছিল। যা আমাদের সাহায্য করেছে। ওই সময় আমরা খুব অভিজ্ঞ দল ছিলাম। এখানকার বাংলাদেশের মতন। বাংলাদেশে বেশ কজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। তারা যদি এক হয় বিশ্বাস করে। তাহলে তারা বিশ্বকাপ জেতার দিকে ছুটে যেতে পারে।'
আসন্ন এই বিশ্বকাপে ফেভারিটের তালিকা করলে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানকেই বেশি এগিয়ে রাখতে হবে। যদিও দলের সমন্বয়, কন্ডিশনের বোঝাপড়া ও অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ক্রিকেটে অন্যরকম কিছু ঘটতে পারেই বলে বিশ্বাস তিলকারত্নের।
তিনি আরও বলেন, 'ক্রিকেট খুব অনিশ্চয়তার খেলা। ১৯৯৬ সালে আমরা জিতব কেউ আশা করেনি। কিন্তু যেটা হচ্ছে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারা। অভিজ্ঞ ও তরুণরা আছে। তারা যদি একসঙ্গে খেলতে পারে। কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা রাখে, একে অন্যকে বোঝে তাহলে জেতা সম্ভব।'