‘ভেতরে কি গেছে শুধু আমি জানি, মনে হয়েছে আমি পুরা শেষ’

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বোলিংয়ে মিরাজের উন্নতি, ব্যাটিংয়ে শান্ত-মুমিনুল-জাকের
৩০ এপ্রিল ২৫
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন মুমিনুল হক। ব্যাটিংয়ে নামলেই বাহারি সব শটের পসরা সাজিয়ে নিয়মিতই রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে হঠাৎই ছন্দপতন হয় তার। কোনোভাবেই যেন রান পাচ্ছিলেন না মুমিনুল। রানখরার সময়টায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। সেই সময়টায় নিজেকে পুরো দুনিয়ার বিপরীতে মনে হয়েছে বলে জানান মুমিনুল।
২০১৭ সালে কলম্বো টেস্টে অফ স্পিনের দোহায় দিয়ে মুমিনুলকে বাদ দিয়েছিলেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। সেসময় বাংলাদেশের প্রধান কোচের বোধহয় মণ্ডুপাত করা বাকি রেখেছিলেন সমর্থকরা। যদিও কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই মুমিনুলই হয়ে উঠেছিলেন গলার কাঁটা।

দেশের মাটিতে করা পারফরম্যান্স আর সেঞ্চুরিতে একটা সময় মুমিনুলকে ডাকা হতো লিটল ব্রাডম্যান হিসেবে। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব নিয়েও ফর্মটা ঠিকই ধরে রেখেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে করোনাভাইরাসে যেন নিজের ফর্মটা হারিয়ে বসলেন মুমিনুল।
অধিনায়কত্বকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না লিটন
৪ ঘন্টা আগে
করোনা পরবর্তী সময়ে ১৮ ইনিংসের একটিতে মাত্র হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ রান করার পরের ১১ ইনিংসে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছিলেন মোটে একবার আর শূন্যতে আউট হতে হয়েছে চারবার।
এমন রান খরায় ভুগতে থাকায় টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়েন মুমিনুল। নেতৃত্ব ছাড়ার পর জাতীয় দল থেকে জায়গাও হারিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে ভারতের বিপক্ষে ফিরে খেলেছেন ৮৪ রানের ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যর্থ হলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ১২১ রানের ইনিংস।
২৬ ইনিংস পর সেঞ্চুরির পেয়ে নিজের কঠিন সময়ের গল্প শোনালেন মুমিনুল। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার যখন হয়েছে মনে হয়েছে পুরা দুনিয়া এক পাশে, আমি এক পাশে। ভিতরে কি গেছে আমিই শুধু জানি। মনে হয়েছে আমি পুরা শেষ!’
অনেকটা লম্বা সময়ই রান খরায় ভুগতে হয়েছে মুমিনুলকে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নিয়মিতই হাফ সেঞ্চুরি আর সেঞ্চুরি পাওয়ায় সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তার কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশাটা একটু বেশি। মুমিনুল ভালো খেলবেন এটা যেন নিত্যদিনের ব্যাপার ছিল।
যদিও মাঝে সেটা পূরণ করতে পারছিলেন না তিনি। টেস্টে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে সাংবাদিক ও সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে মুমিনুল বলেন, ‘আপনারা আমার কাছে প্রতি ম্যাচে ২০০ আশা করেন, তাই মনে হয় আমি রান পাইনি আগে।’