আ.জ.ম. নাছিরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের এডহক কমিটি চট্টগ্রামে

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সুনির্দিষ্ট ৩ অভিযোগ নিয়ে বিসিবিতে দুদকের অভিযান
১৫ এপ্রিল ২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের রিজিয়নাল ক্রিকেট কমিটি বা আঞ্চলিক ক্রিকেট কমিটি গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। বিসিবির সাধারণ সভায় এ নিয়ে নানা সময় আলোচনা করা হলেও, তা আলোর মুখ দেখেনি। অবশেষে দেশ ছয়টি বিভাগে আঞ্চলিক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। আর সে আঞ্চলিক কমিটি সমূহের জন্য একটি এডহক কমিটিও অনুমোদন করা হয়েছে গত সোমবারের ক্রিকেট বোর্ডের সভায়।
চট্টগ্রাম রিজিয়নের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি অনুমোদন করেছে বিসিবি। যেখানে কমিটি প্রধান করা হয়েছে বিসিবির বর্তমান পরিচালক আ.জ.ম নাছির উদ্দিনকে। এছাড়া সদস্য হিসাবে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের রয়েছে সাতজন। তারা বিসিবির বর্তমান পরিচালক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারন সম্পাদক সিরাজ্জুদ্দিন মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম আবহনীর ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান গওহর সিরাজ জামিল, বিসিবি সাবেক পরিচালক এবং ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানি, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহি সদস্য এবং সাবেক ক্রিকেট সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর এবং নিয়াজ মোরশেদ এলিট।
এ ছাড়া কমিটির কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন ফেনী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক জুয়েল চাকমা এবং কক্সবাজার জেলা থেকে বিসিবির প্রতিনিধি মাহমুদুল করিম।

এই রিজিয়নাল কমিটির কার্যক্রম কি হবে তা পরবর্তীতে নির্ধারন করা হবে। দেশের ছয়টি রিজিয়নাল কমিটির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন যুগের শুরু বলে মনে করছেন বিসিবির একাধিক পরিচালক, একই সাথে এই রিজিয়নাল কমিটির কর্মপরিধি কি হবে সে সব বিষয়ে আলাদা গঠনতন্ত্র প্রণয়ন প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা। তবে আশার কথা হচ্ছে নতুন একটি বিষয় শুরু হলো।
এই রিজিয়নাল কমিটিতে স্থান পাওয়া গওহর সিরাজ জামিল জানান এটি একটি নতুন আইডিয়া। যদিও বিসিবি এ কাজটা অনেক আগে থেকেই করতে চেয়েছিল। অবশেষে তারা তা করতে পেরেছে।
তিনি জানান, আমাকে যে কাজের দায়িত্ব দেয়া হবে আমি সেটা পালনে চেষ্টা করব। কারণ আমি ক্রিকেটের সাথে থাকতে চাই। ক্রিকেটকে আমি আমার অন্তরে লালন করি। ক্রিকেটের জন্য সবসময় কিছু করার চেষ্টা করি। তাই এই রিজিয়নাল কমিটির কার্যক্রমে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।
তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই রিজিয়নাল কমিটি কতটা কার্যকর হবে সে প্রশ্নও থেকে যায়। কারণ ভারতের রিজিয়নাল কমিটির যে কাঠামো তা আমাদের দেশে নেই। বিসিবির একাধিক পরিচালকের মতে, ভারতের এক একটি প্রদেশ স্বায়ত্তশাসিত।
তাই তাদের সবকিছু রয়েছে ক্রিকেটের জন্য। কিন্তু সেদিক থেকে চিন্তা করলে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। তারপরও একটা নতুন কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেটাকে সাধুবাদ জানানো উচিত। হয়ত ভবিষ্যতে এই রিজিয়নাল কমিটি কার্যকর হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই বলেছেন এই রিজিয়নাল কমিটিতে যাদের জায়গা দেয়া হয়েছে তারা সবাই ক্রিকেটের সাথে জড়িত। বিশেষ করে চট্টগ্রামের যারা রয়েছেন তারা ক্রিকেটের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এখন দেখার বিষয় এই রিজিয়নাল কমিটি কতটা কার্যকর হয়।