মোহামেডানকে হারিয়ে ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন রূপালী ব্যাংক
ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৪ সালের স্বপ্ন পূরণ করে বিজয়ের ৫০তম সেঞ্চুরি, গাজীর জয়
২০ এপ্রিল ২৫
লিগ পর্বের ম্যাচ হলেও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদের মধ্যকার ম্যাচটি রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। সমীকরণ ছিল এই ম্যাচে যারা জিতবে তারাই ঢাকা প্রিমিয়ার নারী ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন।
মহাউত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচে মোহামেডানকে ৫৩ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলল রূপালী ব্যাংক। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ১৯৬ রান করে অল আউট হয় রূপালী ব্যাংক। জবাবে খেলতে নেমে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান।

এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রূপালী ব্যাংককে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ফারজানা হক পিঙ্কি ও ফারজানা আক্তার লিসা। দুই ফারজানার জুটি স্থায়ী হয় মাত্র ২১ রান পর্যন্ত। পিঙ্কি ১৩ রান করে ফিরলেও লিসার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যৌতিও আউট হয়েছেন ১৩ রান করে। মিডল অর্ডারে নেমে দলটিকে একাই টেনেছেন ভারতীয় রিক্রুট মুক্তা রবীন্দ্র মাগ্রে। তিনি একাই খেলেন ৯০ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। শেষদিকে তাজিয়া আক্তারের ৪৩ বলে ৩৬ রানে প্রায় দুইশোর কাছাকাছি যায় রূপালী ব্যাংকের ইনিংস।
মোহামেডানের হয়ে একাই ৪টি উইকেট নেন খাদিজাতুল কুবরা। এ ছাড়া তিনটি উইকেট পেয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সালমা খাতুন। দুটি উইকেট পেয়েছেন রুমানা আহমেদও। বাকি একটি উইকেট যায় ইসমত জাহান ইমুর ঝুলিতে।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো ব্যাটার আয়েশা রহমান। অধিনায়ক সালমা খেলেন ১৯ রানের ইনিংস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে তাদের ইনিংস থামে দেড়শোর আগেই।
রূপালী ব্যাংকের হয়ে ৩টি উইকেট নেন রিতু মনি। দিপা খাতুনের ঝুলিতে গেছে ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তিথি রানী, হাবিবা ইসলাম পিঙ্কি, মাগ্রে ও পিঙ্কি। এই জয়ের ফলে লিগের ৮ ম্যাচ শেষে ৬ জয় ও ২ পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন রূপালী ব্যাংক।