সুযোগ থাকলে আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে পুরো দুনিয়া ঘুরতেন গিল

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে গুজরাটের কাছে পাত্তাই পেল না কলকাতা
২২ এপ্রিল ২৫
অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরে নিজের করে নিয়েছেন শুভমান। বাহারি সব শটের পসরা সাজিয়ে ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন তরুণ এই ওপেনার। পুরো আইপিএলে নিজের ঘরের মাঠে গিল ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাই তো সুযোগ থাকলে আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে পুরো দুনিয়া ঘুরতেন তিনি।
চলতি বছরটা নিজের স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন গিল। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পুরো আলোটা নিজের দিকে করে নিয়েছেন তিনি। বেশিরভাগ রেকর্ডই গড়েছেন আইপিএলে তার ঘরের মাঠ আহমেদাবাদে। গুজরাট টাইটান্সের ঘরের মাঠটি গিলের কতটা পছন্দ সেটা একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলালেই স্পষ্ট হওয়া যাবে।

এবারের আইপিএল মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন গিল। যার দুটিই আহমেদাবাদে,বাকি একটা তরুণ এই ব্যাটার করেছিলেন চিন্নাস্বামীতে। আহমেদাবাদে সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে একটি ৯৪ রানের অনবদ্য ইনিংসই আছে তার। ১৬ ম্যাচে ৮৫১ রানের বেশিরভাগ রানই এসেছে আহমেদাবাদের উইকেট থেকে।
বাটলারের অপরাজিত ৯৭, গুজরাটের ৭ উইকেটের জয়
১৯ এপ্রিল ২৫
শুধু আইপিএলেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আহমেদাবাদে নিয়মিত রান করছেন তিনি। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাওয়া একমাত্র সেঞ্চুরিটি এই মাঠেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিও করেছেন আহমেদাবাদেই। যে কারণে এমন উইকেটে নিয়মিতই খেলতে চাইবেন গিল।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১২৯ রানের ইনিংস খেলার পর গিলের কাছে সাইমন ডুল জানতে চেয়েছিলেন সুযোগ থাকলে তিনি আহমেদাবাদের উইকেট পকেটে করে নিয়ে ঘুরতেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে গিল বলেন, ‘যদি পারতাম আমি আহমেদাবাদের পিচ সব জায়গায় নিয়ে যেতাম (হাসি)।’
এবারের মৌসুমে ৬০.৭৮ গড় আর ১৫৬.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ৮৫১ রান করেছেন গিল। তার চেয়ে বেশি আর করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। দুইয়ে থাকা ফাফ ডু প্লেসির রান ৭৩০। পুরো বছরে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটানো গিল খোলাসা করেছেন নিজের সাফল্যের রহস্যও।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফর করেছিল ভারত। সেই সফরের আগে ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েকটি টেকনিক্যাল জায়গায় পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি। যা তাকে সাফল্য পেতে সহায়তা করছে। গিল বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে আমি বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে কাজ করেছি এবং কিছু টেকনিক্যাল পরিবর্তন এনেছি।’