ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেননি গিল-পৃথ্বী, হতাশ শেবাগ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কোহলির জন্য শিরোপা জিততে চায় বেঙ্গালুরু
৭ মিনিট আগে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কল্যাণে অনেক সাবেক-বর্তমান সময়ের তারকা ক্রিকেটারদের খুব কাছ থেকে দেখার ও তাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ হয় তরুণ ক্রিকেটারদের। তবে বীরেন্দর শেবাগকে কাছে পেয়েও শুভমান গিল ও পৃথ্বী শ শেখার আগ্রহই দেখাননি।
আর তাতেই হতাশ হয়েছেন সাবেক এই ভারতীয় ওপেনার। সম্প্রতি ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে এই বিষয়ে কথা বলেছেন শেবাগ। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে শেবাগের সঙ্গে গিল ও পৃথ্বী ছিলেন ৬ ঘণ্টা। তবে তারা ক্রিকেট নিয়ে কোনো আলোচনাই করেননি।

এ প্রসঙ্গে শেবাগ বলেন, ‘সে আমার সঙ্গে একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছিল। শুবমান গিলও ছিল। দুজনের কেউই আমার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে একবারও কথা বলেনি। আমরা সেখানে ৬ ঘণ্টা ছিলাম। কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তো আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন গিল। কদিন আগে পেয়েছেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও। অন্যদিকে সেরা ফর্মে নেই পৃথ্বী। এবারের আইপিএলে টানা ব্যর্থতার পর দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশ থেকেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। অবশ্য পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তাকে ফেরানো হয়েছে। সেই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস।
এই পৃথ্বীকেই এক সময় প্রতিভাধর ক্রিকেটার হিসেবেই ধরা হতো। এমনকি ভবিষ্যতে তিনি টেন্ডুলকার-শেবাগদের ছাড়িয়ে যেতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছিলে সুনীল গাভাস্কার। শেখার জন্য জেঁচে কথা বলতে না যাওয়াটাই পৃথ্বীর জন্য কাল হচ্ছে বলে মনে করেন শেবাগ। সেই কথা বলতে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের একটি গল্প বলেছেন শেবাগ।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন দলে নতুন, সানি ভাইয়ের (সুনীল গাভাস্কার) সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তাই আমি জন রাইটকে (তখনকার ভারত দলের কোচ) বলেছিলাম, “আমি এখনো নতুন খেলোয়াড়, জানি না সানি ভাই আমার সঙ্গে দেখা করবেন কি না। ফলে আপনাকেই এটির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।” ২০০৩-০৪ সালে রাইট তাই নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমার তখনকার ওপেনিং সঙ্গী আকাশ চোপড়াও আসবে, যাতে আমরা ওপেনিং নিয়ে কিছু আলোচনা করতে পারি।”’
সেই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে শেবাগ বলেন, ‘তিনি এসেছিলেন, আমাদের সঙ্গে খেয়েছিলেন। পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেটি কাজেও লেগেছিল আমাদের। চেষ্টাটা আপনার দিক থেকেই থাকতে হবে। সুনীল ??াভাস্কার শেবাগ বা আকাশ চোপড়ার সঙ্গে কথা বলতে আসবেন না আগ বাড়িয়ে। আপনাকেই অনুরোধ করতে হবে। শ যদি এমন অনুরোধ করত, আমার ধারণা কেউ না কেউ (সহায়তা করত)। সে দিল্লির হয়ে খেলছে, সে দলের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা আমার বন্ধু। ক্রিকেটে আপনি যতই মেধাবী হন না কেন, যদি মানসিক দিক দিয়ে ওপরে না থাকেন, ফিট না থাকেন, তাহলে কিছুই হবে না।’