৬ ক্যামিওতে বাটলার-স্যামসনদের ঝড় ম্লান করে জিতল হায়দরাবাদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ফিক্সিংয়ের অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলল রাজস্থান
২২ এপ্রিল ২৫
জস বাটলার এবং সাঞ্জু স্যামসনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুই শতাধিক রান করে জয়ের ভিত আগেই গড়ে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। যদিও আনমলপ্রীত সিং, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, হেনরিখ ক্লাসেন, গ্লেন ফিলিপস এবং আব্দুল সামাদের ছোটো ছোটো কয়েকটি ঝড়ে সেই রান অতিক্রম করে জিতে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে চার উইকেটে জিতিয়েছেন সামাদ।
২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে হায়দরাবাদের ওপেনাররা। ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান দলটির ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আনমলপ্রীত সিং। ৫১ রানে এই ওপেনারকে হারানোর পর ১১৬ রানে অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় হায়দরাবাদ।
৩৪ বলে ৫৫ রান করে ফেরেন অভিষেক। এরপর ১২ বলে ২৬ রানের ছোটো ক্যামিও খেলে ফিরে যান হেনরিখ ক্লাসেন। তিনে নামা রাহুল ত্রিপাঠি খেলেন ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মার্করাম ৬ রানে ফিরে গেলে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ। কেননা ১৭.৫ ওভারে ১৭৪ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।

শেষদিকে দুই ওভারে যখন ৪১ রান লাগত, ঠিক তখনই ৭ বলে ২৫ রানের আরেকটি ক্যামিও খেলেন ফিলিপস। ম্যাচের একদম শেষ বলে পাঁচ রান লাগত হায়দরাবাদের। সন্দিপ শর্মার করা নেই বলটি নো বল ছিল। সন্দিপের ফুল লেংথ বল উড়িয়ে লং অফে ধরা পড়েন সামাদ।
বোল্ট-চাহারের আগুনে বোলিং, রোহিতের ঝড়ে মুম্বাইয়ের টানা চার জয়
৮ ঘন্টা আগে
সাঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান শুরু করে উদযাপন। তবে ‘নো’ বলের সাইরেন বেজে ওঠায় তখনই থেমে যায় উদযাপন! সাইরেন শুনে রান আর নেননি সামাদ, হাতের ইশারায় ফিরিয়ে দেন সঙ্গী মার্কো ইয়ানসেনকে।
এরপর ১ বলে দরকার ছিল ৪ রান। রাউন্ড দা উইকেট বোলিংয়ে সন্দিপ আবার ইয়র্কারের চেষ্টা করলেন। কিন্তু সামান্য একটুর জন্য পারেননি। সেই ফুল লেংথ বলকে সোজা ব্যাটে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন সামাদ। ৭ বলে ১৭ রানের আরেকটি ক্যামিও আসে তার ব্যাটে।
রাজস্থানের হয়ে ২৯ রান খরচায় চার উইকেট নেন যুবেন্দ্র চাহাল। ১১ ম্যাচে পাঁচটি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারেই থাকল রাজস্থান। দশ ম্যাচে এটি হায়দরাবাদের চতুর্থ জয়।
জয়পুরে এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেটে ২১৪ রান তোলে রাজস্থান। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তোলে ৫৪ রান। এই ম্যাচেও আগ্রাসী সূচনা করেন দলটির তরুণ ওপেনার ইয়াশভি জায়সাওয়াল।
১৮ বলে ৩৫ রান করা এই ওপেনারকে থামান মার্কো ইয়ানসেন। তারপর ১৩৮ রানের জুটি গড়েন বাটলার এবং স্যামসন। তবে দুর্ভাগ্য বাটলারের। ১৯তম ওভারে সেঞ্চুরি থেকে পাঁচ রান দূরে থেকেই ফিরে যান তিনি।
তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৫৯ বলে ৯৫ রানের এই ইনিংসে ছিল দশটি চার ও চারটি ছক্কার মার। শেষপর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন স্যামসন।