গিল-ঋদ্ধিমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর মোহিতের পেসে জিতল গুজরাট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে গুজরাটের কাছে পাত্তাই পেল না কলকাতা
২২ এপ্রিল ২৫
পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে আগেই প্রায় প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে গুজরাট টাইটান্স। ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ৫৬ রানে হারিয়ে অন্য দলগুলোর সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
শুভমান গিলের ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেছিল গুজরাট। তবে সেই লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে কুইন্টন ডি কক ছাড়া আর কেউই প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি লক্ষ্ণৌয়ের। গুজরাটের হয়ে মোহিত শর্মা ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ফলে বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়ার দলকে।
অবশ্য বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল লক্ষ্ণৌ। দুই ওপেনার ডি কক ও কাইল মেয়ার্স মিলে তোলেন ৮৮ রান। মেয়ার্স ৩২ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। এরপর দীপক হুদা ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। মার্কাস স্টইনিসও থিতু হতে পারেননি।

তিনি আউট হয়েছেন ৯ বলে ৪ রানের ধীর ইনিংস খেলে। অবশ্য একপ্রান্ত আগলে রেখে লক্ষ্ণৌয়ের রান বাড়িয়েছেন ডি কক। অবশ্য ব্যক্তিগত ৭০ রানে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়েছেন এই প্রোটিয়া ওপেনার। আর তাতেই ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যায় লক্ষ্ণৌয়ের।
লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে দিল্লির আটে ছয়
২২ এপ্রিল ২৫
নিকোলাস পুরান ফেরেন ৬ বলে ৩ রান করে। আয়ুস বাদনি ১১ বলে ২১ রানের ইনিংস খেললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া আউট হন শূন্য রানে। মূলত শেষের দিকের ব্যাটাররা রান রেটের চাহিদা মেটাতে না পারলে রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লক্ষ্ণৌকে।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে গুজরাটকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল লক্ষ্ণৌ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই লক্ষ্ণৌয়ের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা। অন্যপ্রান্তে শুরুর দিকে কিছুটা ধীর স্থীর ব্যাটিং করেছেন শুভমান গিল।
এই দুই ওপেনার মিলেই তোলেন ১৪২ রান। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল ঋদ্ধিমানের। যদিও ব্যক্তিগত ৮১ রানে তিনি আভেষ খানের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন প্রেরাক মানকাডের হাতে। মাত্র ৪৩ বলের ইনিংসে ৪টি ছক্কা ও ১০টি চার মেরেছেন ঋদ্ধিমান।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে গুজরাটের রান বাড়িয়েছেন গিল। ঋদ্ধিমান আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে লক্ষ্ণৌয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন গুজরাটের এই ব্যাটার। যদিও হার্দিক ১৫ বলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে আউট করেছেন মহসিন খান।
কাভারে হার্দিকের ক্যাচ ধরেছেন তারই ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। শেষদিকে নেমে ১২ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেছেন ডেভিড মিলারও। গিল সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও অপরাজিত থেকেছেন ৫১ বলে ৯৪ রান করে। আর তাতে ভর করেই ২২৭ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করায় গুজরাট।