এখনকার ক্রিকেটে কোহলির ব্যাটিং ধাঁচে ‘বিতর্ক’ দেখছেন মুডি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরলেন আইয়ার-কিশান, শীর্ষে কোহলি-রোহিত
২১ এপ্রিল ২৫
বিরাট কোহলির ‘অ্যাঙ্কারিং’ রোল বা ইনিংস বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি আধুনিক ক্রিকেটে মানানসই নয় বলে মনে করছেন টম মুডি। তার মতে, এতে দল কাঙ্খিত রান পায় না। ব্যাটিং লাইনআপের সবাই যদি শুরু থেকে মেরে খেলে তাহলেই কোনো দল টি-টোয়েন্টিতে দুইশ পার করতে পারে বলে বিশ্বাস মুডির।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচটি বিশ্লেষণ করতে গিয়েই এমনটা জানিয়েছেন মুডি। সেই ম্যাচে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৮১ রান তোলে বেঙ্গালুরু। কোহলির ব্যাটে আসে ৪৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১২০ এর খুব কাছাকাছি।

শেষদিকে মহিপাল লমরোর ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রান না করলে বেঙ্গালুরুর স্কোর হয়তো সেখানেও পৌঁছাত না। এই ম্যাচটি ফিল সল্টের ৪৫ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৭ উইকেটে জিতে দিল্লি। তাও ২০ বল বাকিও রেখে।
বেঙ্গালুরুর এমন হারের পর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোহলিকেই দায় দিচ্ছেন মুডি। এই অস্ট্রেলিয়ানের মতে, 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' এর এই যুগে প্রতিটি দলই একজন করে বাড়তি ব্যাটার বা বোলার খেলানোর সুযোগ পায়। সেক্ষেত্রে শুরু থেকে ইনিংস বয়ে ব্যাটিং করার প্রয়োজনীয়তাও দেখেন না মুডি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সাবেক এই কোচ বলেন, 'কোহলির এমন ব্যাটিং ধাঁচ নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। সে যেভাবে ব্যাটিং করে তাতে তার স্ট্রাইক রেট ১৩০ এর বেশি হওয়ার কথা না। কিন্তু এর চাইতেও দ্রুতগতিতে সে রান তোলার ক্ষমতা রাখে। তবে সে সম্ভবত মনে করে, একা একা আগ্রাসী না খেলে অপরপ্রান্তে যে আছে সে সহ রান বাড়াতে। অন্য প্রান্তের ব্যাটারকে সহায়তা করা। কিন্তু আমার মতে, 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' এর নিয়ম আসার পর থেকে খেলাটা আগে থেকে পরিবর্তন হয়ে গেছে।'
'এ কারণেই আমরা অনেক দুই শতাধিক রান দেখতে পাচ্ছি। এমন কোনো ভূমিকাই আসলে নেই! সবাই এখন কোনো সন্দেহ ছাড়াই দেড়শ'র বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলতে চায়। কেননা ব্যাটিং অর্ডারে এখন গভীরতা আছে। তারা যতটা রান করতে চেয়েছে, সেটা কি পেরেছে? কোহলিও যদি লমরোরের সঙ্গে আগ্রাসী হয়ে খেলত এবং ওভার প্রতি একটি করে বাউন্ডারি মারত তাহলে ম্যাচটা আরও সামনে চলে যেত।'