আইপিএলের হাজারতম ম্যাচ ‘জায়সাওয়ালময়’ হতে দিলেন না ডেভিড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে দিল্লির আটে ছয়
২২ এপ্রিল ২৫
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পুরো বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে করা ১৫৮ রানের সেই ইনিংসটিকে আজও ক্রিকেটের পরিবর্তনের 'সূচনা' হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় আইপিএলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক হাজারতম ম্যাচ। আর এই ম্যাচটি রাঙালেন ইয়াসভি জায়সাওয়াল। তার অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় রাজস্থান রয়্যালস। যদিও ক্যামেরন গ্রিন, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা এবং টিম ডেভিডদের দাপটে শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেটে ম্যাচটি জিতে নিলো মুম্বাই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান প্রয়োজন থাকলে জেসন হোল্ডারের করা ওভারে টানা তিন বলে তিন ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন ডেভিড!
২১৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা (৩)। তারপর ইশান কিশান এবং গ্রিন মিলে ৬২ রানের জুটি গড়েন। ২৩ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান কিশান।
এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে ফেরানোর পর গ্রিনকেও ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন গ্রিন। তারপর ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে মুম্বাইকে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে দেন সূর্যকুমার।

অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্টের বলে সূর্যকুমার ফিরে গেলে কিছুটা হাফ ছাড়ে রাজস্থান। যদিও তিলকের ২১ বলে ২৯ এবং ডেভিডের ১৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচটি হেরে যায় তারা।
ফিক্সিংয়ের অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলল রাজস্থান
২২ এপ্রিল ২৫
ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামে এর আগে জায়সাওয়াল ছাড়া এ দিন হাসেনি রাজস্থানের আর কোনও ব্যাটারের ব্যাট। ১৯ বলে ১৮ রান করে অষ্টম ওভারে ফিরে যান জস বাটলার। অধিনায়ক স্যামসনের ব্যাটে আসে ১০ বলে ১৪ রানের ইনিংস।
আর ৯ বলে ১১ রান করেন জেসন হোল্ডার। মুম্বাইয়ের হয়ে ৩৪ রান খরচায় দুই উইকেট নেন অভিজ্ঞ পীযুষ চাওলা। ৩৯ রান খরচায় তিন উইকেট নেন আরশাদ খান। মূলত আরশাদের দায়িত্বশীল বোলিংয়েই রান বাড়ানোর সুযোগ পায়নি রাজস্থান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২১২ রান তোলে তারা। ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে ফিরে যাওয়ার সময় জায়সাওয়ালের নামের পাশে থাকে ১২৪ রান। ৬২ বলে খেলা ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও আটটি ছক্কার মার।
আট ম্যাচে এটি মুম্বাইয়ের চতুর্থ জয়। অপরদিকে ম্যাচ হারলেও পাঁচ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে সাঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান।