শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণ ব্যয় ছাড়াতে পারে ৫০০ কোটি!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বদলে গেল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম
৩ মার্চ ২৫
২০১১ সালে সময়স্বল্পতার কারণে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারি ও মাঠের কাজ একই সঙ্গে শুরু করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনায় সফলও হয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া। ফাইনাল ম্যাচসহ মোট তিনটি ম্যাচ সেবার মাঠে গড়িয়েছিল সেখানে।
এবার তাদের পরিকল্পনাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের। বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানিয়েছেন, তারা আগেই মাঠের মূল অংশের কাজ শুরু করতে চান। এরপর গ্যালারির কাজ চলতে থাকলেও তারা সেই মাঠে ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা তাদের।
মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে ভেন্যু নিয়ে বেগ পেতে হয় বিসিবিকে। অনেক ম্যাচই আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মাঠে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে দ্রুতই শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে খেলা শুরু করতে চান তারা।

এ প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম বলেন, 'আপনি যদি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কথা চিন্তা করে থাকেন, ২০১১ বিশ্বকাপের সময় সময়স্বল্পতার জন্য মাঠের কাজটাও একই সঙ্গে শুরু করেছিল। যখন গ্যালারি তৈরি করা গেছে তখন খেলা পরিচালনা করা গেছে, সেখানে বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল। আমাদের মাঠের স্বল্পতা রয়েছে। বিসিবি যে পরিমাণ খেলা আয়োজন করে তা করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে ঢাকা শহরে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা মূল মাঠ ও আউটার স্টেডিয়ামের উইকেটগুলো তৈরি করা শুরু করবো। আমরা যদি উইকেটগুলো তৈরি করতে পারি বা ড্রেনেজ ও ফিলিংটা দরকার সেটা আমরা করে ফেলতে চাই।'
ওয়াংখেড়েতে নিজের নামে স্ট্যান্ড দেখে আপ্লূত রোহিত
১৯ এপ্রিল ২৫
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নির্মাণ ব্যয় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন মাহবুব আনাম। সেই সঙ্গে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি। শুধু মাঠই নয় সঙ্গে একাডেমি ভবন ও বিসিবির নিজস্ব ভবনও রয়েছে স্টেডিয়ামের পরিকল্পনার সঙ্গে। ফলে এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে বিসিবি।
সেই ধারণা দিয়ে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেছেন, 'থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে কনস্ট্রাকশন খরচ কম হয়। আপনি যদি মোতেরা স্টেডিয়ামের (বর্তমানে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে, আহমেদাবাদ) কথা ধরেন, ওটা ইন্ডিয়ান রুপিতে ৭০০ বা ৮০০ কোটি টাকায় হয়েছিল। তো ওটাকে যদি আপনি একটা মানদণ্ড ধরেন, তার তুলনায় কিছুটা কম হলেও হবে। কারণ সেখানে ১ লাখ ১০ হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম। ৫০০ কোটি কি না তা বলা কঠিন, কারণ আপনি একটা জিনিস দেখবেন যে এখানে খালি মাঠ নয়, এখানে আমাদের একাডেমি ভবন হচ্ছে, বিসিবির একটা নিজস্ব ভবন হচ্ছে। একটা হোটেলের জায়গা ড্রয়িং করা অবস্থায় থাকবে, পরে আমরা এটা কনস্ট্রাকশনে যাব।'
প্রাথমিক পর্যায়ে মূল মাঠ ও আউটার মাঠের উইকেট বানানো শুরু করতে চায় বিসিবি। এরপর ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে মাঠের কাজ শেষ করা হবে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন পুরোদমে খেলা শেষ করা যায় সেটাও মাথায় রাখছে বিসিবি।
পরিকল্পনা খোলাসা করে মাহবুব আনাম বলেন, 'কাজটা বিভিন্ন পর্যায়ে শুরু হবে। এর মধ্যে একটা মাঠের কাজ, আরেকটা ফ্যাসিলিটি বা ইনফাস্ট্রাকচারের কাজ। আমরা প্রথমে মাঠের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। মাঠের লোকেশনগুলো আগে মার্ক করা হবে এবং সেন্টার উইকেটগুলো তৈরি করা। উইকেট তৈরি করতে প্রচুর সময় লাগে সেই কাজটাই আমরা সবার আগে শুরু করতে চাই ইনফাস্ট্রাকচারের কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে। একই সাথে যেন মাঠটা খেলার জন্য উপযোগী থাকে আমরা সেটাই দেখবো।'