চাপে ভেঙে পড়া ক্রিকেটারকে দলে চান না হাথুরুসিংহে
.jpg)
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বরিশালের বেঞ্চ দিয়ে অন্য দলের চেয়ে ভালো দল বানানো যাবে’
৩১ জানুয়ারি ২৫
এক সিরিজে নাসুম আহমেদ খেলছেন তো পরের সিরিজে তাইজুল ইসলাম। সবশেষ কয়েক সিরিজে বাঁহাতি এই দুই স্পিনারের সুযোগ পাওয়াটা এমনই। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইটা জমেও গেছে বেশ। ভারত বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত তাদের দুজনের এক সিরিজ খেলা আর আরেক সিরিজ বাইরে থাকার প্রক্রিয়া চলবেই বলে জানান চান্দিকা হাথুরুসিংহে।
তাইজুলকে বলা হয়ে থাকে লাল বলের ক্রিকেটের কাণ্ডারি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে টেস্ট বোলার হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০১৪ সালেই অভিষেক হয়। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছিলেন চার উইকেট। রঙিন অভিষেকের পরও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি।পর্যাপ্ত সুযোগ অবশ্য পাননি তাইজুল।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এদিকে ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অভিষেক হয় নাসুমের। সাকিব আল হাসান না থাকায় একই সফরের ওয়ানডে দলে ছিলেন তাইজুল। প্রথম দুই ম্যাচে নাসুম নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। আর প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও ৮ ওভারে ৩ মেইডেন পাওয়া বাঁহাতি এই স্পিনার দিয়েছিলেন মোটে ১৬ রান।
মিরপুরে বিদেশিদের বোলিং করতে ভালো লাগে নাসুমের
৩ ফেব্রুয়ারি ২৫
সিরিজের শেষ ম্যাচে নাসুমের সঙ্গে খেলেন তাইজুলও। সেই ম্যাচে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি। নাসুমও অবশ্য ২ উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর থেকেই চলছে তাদের দুজনের লড়াই। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে সফরে ছিলেন তাইজুল। দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নেয়া বাঁহাতি এই স্পিনারের জায়গা মেলেনি পরের সিরিজে।
ঘরের মাঠে ভারতের সঙ্গে দলে ছিলেন নাসুম। যদিও সুবিধা করতে পারেনি এক ম্যাচে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা এই স্পিনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘটেছে অবশ্য উল্টোটা। স্কোয়াডে ছিলেন না নাসুম, খেলেছেন তাইজুল। কদিন আগে শেষ হওয়া আয়ারল্যান্ড সিরিজে খেলেছেন নাসুম। আর আয়ারল্যান্ড সফরে ডাক পড়েছে তাইজুলের। তাদের দুজনকে নিয়ে এমন করার ব্যাখ্যা দিয়েছেন হাথুরুসিংহে।
মূলত স্কোয়াড বড় করতে ও সবাইকে অভিজ্ঞ করে তুলতেই এমন পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ। সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘কারণ যেমন আমরা আলোচনা করেছি, আমি স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাইকে অনেক অভিজ্ঞতা দিতে চাই। বিশ্বকাপের আগে অবধি এমন চলতেই থাকবে।’
এমন প্রক্রিয়ার ফলে তাদের দুজনের মাঝে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘করবে না। কারণ তাদের সঙ্গে যথেষ্ট কথা হয়েছে। ব্যাখ্যা করেছি কেন তারা আছে, কেন নেই। আশা করি প্রভাব ফেলবে না। যদি করে, তাহলে এটা চাপের মধ্যে তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে। ওই ধরনের খেলোয়াড় আমরা দলে চাই না।’