পাকিস্তান দলে মিডল অর্ডার দেখছেন না রশিদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আবারো পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার ঘোষণা দিল বিসিসিআই
৪ ঘন্টা আগে
পাকিস্তান দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রশিদ লতিফ। সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার পাকিস্তানের একাদশে কোনো মিডল অর্ডার ব্যাটারই খুঁজে পাচ্ছেন না। মিডল অর্ডার ব্যাটার না থাকায় বিভিন্ন ওপেনারকে মিডল অর্ডারে খেলাচ্ছে পাকিস্তান এমনটাই মনে করেন তিনি।
যদিও তাদেরকে সত্যিকারের মিডল অর্ডার ব্যাটার মানতে নারাজ রশিদ। নিয়মিত টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং করলেও ওয়ানডেতে মিডল অর্ডারে খেলে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এমনকি বাবর আজমও ওয়ানডেতে খেলেন ওয়ান ডাউনে। তাদেরকে তাই মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবেই ধরছেন না তিনি।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে রশিদ বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের দলে শক্তিশালী মিডল-অর্ডার দেখতে পাচ্ছি না। আপনি যদি একজন ওপেনারকে মিডল-অর্ডারে নিয়ে যান, আমি তাকে সত্যিকারের মিডল-অর্ডার খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করব না।’
‘টাকার জন্য ওয়াসিম-ওয়াকাররা সব করতে পারে’, দাবি রশিদের
৮ মার্চ ২৫
হারিস সোহেল একজন বিশেষজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার। তাকে খেলানো হচ্ছে না নিয়মিত। মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে শুধু বিবেচনা করা যায় আঘা সালমানকে। ওয়ানডে দলে ইফতিখার আহমেদের মতো একজন ক্রিকেটারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন রশিদ।
তিনি বলেন, ‘হারিস সোহেল একজন মিডল-অর্ডার ব্যাটার, যদিও তিনি খেলছেন না (চোটের কারণে), এবং সালমান আলি আগা বর্তমানে একমাত্র মিডল-অর্ডার ব্যাটার। ৫০ ওভারের খেলায় টি-টোয়েন্টি থেকে জিনিসগুলি ভিন্ন। ওয়ানডেতে, আপনাকে একটি ইনিংস তৈরি করতে হবে এবং এর জন্য মিডল অর্ডারে ইফতিখার আহমেদের মতো একজন খেলোয়াড় প্রয়োজন।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক মিডল অর্ডার ব্যাটার রয়েছে। তাদের দিকে পাকিস্তান দলের নির্বাচকরা চেয়েও দেখেননি বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। দলে ৪-৫ জন ওপেনার থাকলে মিডল অর্ডারে শূন্যতা দেখছেন তিনি। দ্রুতই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রশিদ বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড় আছে যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডল-অর্ডার ব্যাটার হিসাবে খেলছে এবং আমরা তাদেরকে নিয়ে চেষ্টাও করিনি। আমাদের দলে শক্তিশালী মিডল-অর্ডারের অভাব রয়েছে, কারণ আমাদের মাত্র দুজন মিডল-অর্ডার ব্যাটার আছে – আঘা সালমান এবং হারিস সোহেল। আমাদের আরও শক্ত মিডল-অর্ডার ব্যাটার দরকার, কারণ আমাদের কাছে ৪ থেকে ৫ জন শক্ত ওপেনার আছে, কিন্তু শক্ত মিডল-অর্ডার নেই।’