তিন-চার বছর ধরেই ম্যাচ জেতানোর অনুশীলন করেছেন তেওয়াতিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে গুজরাটের কাছে পাত্তাই পেল না কলকাতা
২২ এপ্রিল ২৫
পাঞ্জাব কিংসের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে গুজরাট টাইটান্সকে। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। যদিও সেট ব্যাটার শুভমান গিল দ্বিতীয় বলে ফিরে গেলে দলটির জয় পাওয়া নিয়েই শঙ্কা জাগে।
শেষ ওভারে স্যাম কারানের চার বলে মাত্র ৩ রান নিতে পেরেছিল গুজরাট। জিততে হলে শেষ দুই বলে তাদের দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় স্কুপ করে পঞ্চম বলে চার মেরে এক বল হাতে রেখেই গুজরাটকে জয় এনে দেন রাহুল তেওয়াতিয়া।
শুরুটা ভালোই ছিল গুজরাটের। পাওয়ার প্লেতেই তার তুলেছিল ৫৬ রান। কিন্তু পরের ৯ ওভারে পাঞ্জাবের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ৫৫ রান। ফলে শেষ পাঁচ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪৩ রান। এক সময় মনে হচ্ছিল এই রানও নিতে পারবে না তারা। তবে তেওয়াতিয়ার কল্যাণে সেটা হয়নি।

চার মেরে জয় এনে দেয়া তেওয়াতিয়া জানিয়েছেন, তিনি তিন-চার বছর ধরেই এমন পরিস্থিতিতে কেমন ব্যাটিং করতে হবে তা নিয়ে কাজ করছেন। এমনকি আইপিএলের গত দুই আসর ধরে বেশ কিছু ম্যাচ এমন পরিস্থিতিতে জিতিয়ে আলোচনায় এসেছেন তেওয়াতিয়া।
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, 'কোনোকিছুই রাতারাতি হয়ে যায় না। ২০২০ সালে আমাকে এই রোল দেয়া হয়েছিল, যখন আমি রাজস্থান রয়্যালসে ছিল। যখন তারা আমাকে এই রোল দিয়েছিল এটা আমাকে স্বচ্ছতা দিয়েছিল। ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং করলে ১৪ ম্যাচে আপনি ৮-৯ বার এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ পাবেন। ভিন্ন কিছু হবে যদি দল কলাপ্স করে এবং তাহলে ১০-১১ ওভারের মধ্যে নামতে হবে। বেশিরভাগ সময় আপনাকে ১৩ বা ১৪তম ওভারে নামতে হবে। আমি গত তিন-চার বছর ধরেই একই জিনিস অনুশীলন করছি।'
ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে তেওয়াতিয়া বলেন, 'এমন লক্ষ্য পেলে অনেক সময় ম্যাচ একপেশে হয়ে যায়। ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল ভালো শুরু এনে দিয়েছিল কিন্তু তারা (পাঞ্জাব) খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং মাঝের ওভারগুলোতে তারা দারুণ বোলিং করেছে। এর মধ্যে তিন-চার ওভার তারা কোনো বাউন্ডারিও দেয়নি। তাই তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে। এ কারণে শেষের দিকে ম্যাচ ঘুরে যাচ্ছিল এবং বল হিট করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এটা ক্রিকেট। তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল কিন্তু আমরা জয়ী দল হিসেবে ম্যাচ শেষ করেছি।'
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে ফিরেছিলেন গিল। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় তেওয়াতিয়াকে তিনি বলে গিয়েছিলেন বল রিভার্স সুইং হচ্ছে। সেই পরামর্শ কাজে লাগিয়েই নিজের শট বেঁছে নিয়েছিলেন তেওয়াতিয়া। প্রথমে লেগ সাইডে দুই রান নিয়ে ম্যাচ বের করার পরিকল্পনা ছিল তার। অবশ্য শেষ পর্যন্ত স্কুপকেই বেঁছে নেন তিনি। সেটা কাজেও লাগান।
তেওয়াতিয়ার ভাষ্য, 'শুভমান যখন আউট হলো সে আমাকে বলেছিল বল রিভার্সিং হচ্ছে কিছুটা। তাই এটা ভালো দিক যে আমি সেট ব্যাটারের কাছ থেকে অত্থ্য পেয়েছিলাম যেখানে আমাকে দুই-তিন বল খেলতে হতো। তাই বল রিভার্সিং হওয়ার আগেই নিজেকে তৈরি করে নিতে পেরেছিলাম। আমার মাথায় দুটি জিনিস এসেছিল। লেগ সাইডটা অনেক বড় ছিল এবং আমি চিন্তা করেছিলাম আমি দুই রান নিতে পারবো। কিন্তু এটা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং দুই বল বাকি থাকতে আমার মনে হয়েছিল এটাই (স্কুপ) ভালো শট হবে। বলও রিভার্সিং হচ্ছিল। আমি নিজেকে প্রেরণা দিচ্ছিলাম এবং এই শটটি বাস্তবায়ন করেছি।'