নেট বোলার থেকে গুজরাটের জয়ের নায়ক, মোহিত বললেন 'খারাপ কিছু নয়'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে গুজরাটের কাছে পাত্তাই পেল না কলকাতা
২২ এপ্রিল ২৫
২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) টানা ৮ মৌসুম দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মোহিত শর্মা। এর মধ্যে ২০১৪ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা বোলারও।
অবশ্য সেই সুসময় লম্বা সময় ধরে রাখতে পারেননি মোহিত। এক সময় যেন ক্রিকেট থেকেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ আইপিএলে মোহিত ছিলে অবিকৃত। সেই মৌসুমেই গুজরাট টাইটান্সের প্রধান কোচ আশিষ নেহরা তাকে নেট বোলার হিসেবে যোগ দিতে বলেন।
নেহরা তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোনো ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লে সুযোগ দেয়া হবে তাকে। তবে সেই সুযোগ আর আসেনি। যদিও এবারের আসরের আগে নিলাম থেকে মোহিতকে ৫০ লাখ রুপিতে দলে ভেড়ায় আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম তিন ম্যাচে গুজরাটের একাদশে জায়গা হয়নি মোহিতের। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খরুচে বোলিং করেছিলেন ইয়াস দয়াল। শেষ ওভারে রিঙ্কু সিং তাকে টানা পাঁচটি ছক্কাও মেরেছিলেন। এমন পারফরম্যান্সের পর পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সুযোগ পান মোহিত।
সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন মোহিত। তিনি সাজঘরে ফেরান জিতেশ শর্মা ও স্যাম কারানকে। এর ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে এই পেসারের হাতে।
নিজের কষ্টের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে মোহিত বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে ফিরে এসেছি, তাই যেমন উত্তেজিত ছিলাম ঠিক তেমনই একটু স্নায়ুচাপে ভুগছিলাম। অনেকে তো এটাও জানতেন না যে, আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতাম কিনা। নেহরা আমাকে কল করে দলের সঙ্গে থাকার কথা বলে। এটাও জানায় যে, কেউ চোট পেলে সুযোগ পেতে পারি। আমিও ভেবেছিলাম বাড়িতে থেকে কী করব। তার থেকে দলের সঙ্গে থাকলে প্রতিযোগিতামূলক অনুশীলনে থাকতে পারব।’
ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার কারণেই ফিরে আসতে পেরেছেন বলে মনে করেন মোহিত। নেট বোলার হিসেবে থাকাও খারাপ কোনো বিষয় নয় এই পেসারের কাছে। তিনি মনে করেন নেট বোলার হিসেবেও নিজেকে পরিণত করা যায়। সব মিলিয়ে নিজের ফিরে আসাটা বেশ উপভোগ করছেন তিনি।
মোহিত বলেন, ‘আমি ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম, সেটাই আমাকে কামব্যাক করতে সাহায্য করেছে। নেট বোলার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা খারাপ কিছু নয়। এটা নির্ভর করে ব্যক্তিগত ভাবনা-চিন্তার উপর। নেট বোলার হিসেবে দলের সঙ্গে থেকেও নিজেকে পরিণত করা যায়। মেন বোলাররা অনুশীলনে যা যা করে, নেট বোলাররাও ব্যতিক্রম নয়। তাদেরও সেই সব কিছুই করতে হয়। দলের সঙ্গে থেকে কখনও আলাদা মনে হয়নি। সবাই মিলে সময়টা উপভোগ করেছি।’