নাইমের টানা ৫ হাফ সেঞ্চুরি, আবাহনীর জয়

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইনিংস লম্বা করার চেষ্টাতেই সফল নাইম
২১ মার্চ ২৫
ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮৫ রানের ইনিংস দিয়ে ডিপিএল শুরু করেছিলেন নাইম শেখ। পরের ৯ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে আরও ৬ হাফ সেঞ্চুরি, সঙ্গে একটি সেঞ্চুরিও আছে তার। দারুণ ছন্দে থাকা নাইম আছেন রান তোলা ব্যাটারদের তালিকায় সবার উপরে। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে ডিপিএলে রান করেই চলেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
ডিপিএলের দশম রাউন্ডে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গেও খেলেছেন ৭৯ রানের ইনিংস। আজমির আহমেদ, মার্শাল আইয়ুব ও মোহাম্মদ ইলিয়াসের হাফ সেঞ্চুরিতে ম্লান হতে যাচ্ছিলো নাইমের ইনিংস। তবে সেটা হতে দেননি আবাহনী লিমিটেডের বোলাররা। আঁটসাঁট বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ রানের জয় পেয়েছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৬৮ রান তাড়ায় প্রত্যাশিত শুরু করতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ওপেনার সাদমান ইসলামকে হারায় তারা। নাহিদুল ইসলামের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১১ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার।
তিনে নামা জহুরুল ইসলাম অমিকে নিয়ে পাওয়ার প্লে পার করেন আজমির। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জহুরুল। রাকিবুল হাসানের বলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৬ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ইলিয়াস আর আজমির মিলে অগ্রণী ব্যাংককে টেনেছেন অনেকটা সময়।
তাদের জুটি পঞ্চাশ পেরোনার পরই আউট হয়েছেন আজমির। তাকে সাজঘরে ফেরান নাহিদুল। ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা আজমির এদিন আউট হয়েছেন ৬০ রানের ইনিংস খেলে। আজমিরের বিদায়ের পর ৭৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ইলিয়াস। তিনিও প্যাভিলিয়নে ফেরেন হাফ সেঞ্চুরির পরই।
সাইফউদ্দিনের লেগ সাইডের ডেলিভারিতে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে উইকেটকিপার জাকের আলী অনিককে ক্যাচ দেন তিনি। ৫৭ রানে ইলিয়াস আউট হওয়ার পর ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্শাল। শেষ দিকে শরিফুল্লাহ ২৬ ও আবু হায়দার রনি ১৯ রান করলেও জয় পাওয়া হয়নি অগ্রণী ব্যাংকের।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬৭ রানে অল আউট হয় আবাহনী। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৬ রান করেছেন নাইম। এ ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫২, সাইফউদ্দিন ৩৩, আফিফ হোসেন ৩১ এবং জাকের আলী ২৭ রান করেছেন। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে আনামুল হক তিন উইকেট নিয়েছেন।