কারণ ছাড়া আবারও বাদ দিলে ব্যবস্থা নেবেন ইমাদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘টাকা অসম্ভবকেও সম্ভব করে’, রাজার ভ্রমণ নিয়ে ইমাদ
২৬ মে ২৫
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে বিশ্বকাপের পর হুট করেই বাদ পড়েন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) পারফর্ম করে বছর দেড়েক পর জাতীয় দলে ফেরার আগে বেশ কয়েকবার বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে ইমাদ বলেছেন, জাতীয় দল থেকে তিনি কেন বাদ পড়েছেন সেটার কারণ জানেন না। আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে আবারও পাকিস্তানের জার্সিতে ফেরার পর নির্বাচকদের খানিকটা হুমকি দিয়ে রাখলেন তিনি। ইমাদ জানিয়েছেন, কারণ ছাড়া আবারও বাদ পড়লে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ইমাদ। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে ওভারপ্রতি সবচেয়ে কম ৫.৭০ রান করে দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ব্যাট হাতে অবশ্য খুব বেশি সুযোগ পাননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রান করেছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরের দলে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। মাঝের সময়টায় বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছেন ইমাদ। সবশেষ পিএসএলে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ১০ ম্যাচে করেছিলেন পঞ্চম সর্বোচ্চ ৪০৪ রান আর বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট।
আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করবে পাকিস্তান
৯ ঘন্টা আগে
এমন পারফরম্যান্সের পরই দেড় বছর পর পাকিস্তান দলে ফেরেন ইমাদ। আফগানদের বিপক্ষে ২ উইকেট নেয়ার সঙ্গে তিন ম্যাচে করেছেন ৯৫ রান। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলেও রয়েছেন ইমাদ। সেই সিরিজের আগে নির্বাচকদের হুংকার দিয়ে রাখলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
ইমাদ বলেন, ‘জাতীয় থেকে আমাকে দেড় বছর বাইরে রাখার কারণ নির্বাচকরা কখনই বলেনি। আমি এটা আর হতে দেবো না। এবার আমার কাজগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি আমার ক্যারিয়ারের এমন একটা পর্যায়ে আছি যে এখন তারা আমাকে কারণ ছাড়া বাদ দিলে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জাতীয় দলে না থাকার সময়টা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মাতিয়েছেন ইমাদ। খেলেছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), পিএসএল, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো টুর্নামেন্টে। যেখান থেকে পাকিস্তানে খেলার চেয়ে বেশি টাকা আয় করেছেন বলে জানান তিনি।
সেসময় ১০ গুন বেশি টাকা উপার্জন করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ৩৪ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। ইমাদ বলেন, ‘আমি দল থেকে বাইরে থাকার সময়টায় কোনোভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হইনি। বরং পাকিস্তানের হয়ে খেললে যা আয় করতাম তার চেয়ে দশগুন আয় করেছি।’