ডিপিএলেও জিসানের ঝড়, তবুও হারল শাইনপুকুর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইমার্জিং সিরিজের দলে আকবর-জিসান
২ মে ২৫
আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে আলোচনায় আসেন জিসান আলম। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ব্যাট হাত ঝড় তোলা জিসান দুর্দান্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল)। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ৭ ছক্কায় ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। জিসানের সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন অমিত হাসানও। তবুও সিটি ক্লাবের কাছে ২৩ রানে হারতে হয়েছে শাইনপুকুরকে।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২২৭ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। আসিফ হাসানের বলে লফটেড শট খেলতে গিয়ে লং অফে জয়রাজ শেখের হাতে ধরা পড়েন মাহফিজুল ইসলাম রবিন।

পাওয়ার প্লেতে অবশ্য আর কোনো উইকেট হারায়নি তারা। ১০ ওভার শেষে শাইনপুকুরের সংগ্রহ ৫২ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে আসিফের বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জিসান। তবে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করা হয়নি ডানহাতি এই ব্যাটারের।
মাজ আহমেদ সাদাকাতের বলে থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন অমিত। তবে সময় মতো স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছাতে না পারায় রান আউটে কাটা পড়তে হয় ৭৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলা জিসানকে। একই ওভারে তৌফিক খান তুষার ক্যাচ ছাড়লে জীবন পান প্রিয়াংক প্রাঞ্জল।
যদিও পরের ওভারেই ফিরতে হয় তাকে। রাফসান আল মাহমুদের বলে মিড উইকেটে থাকা মাজ সাদাকাতের হাতে ক্যাচ দেন ৬ রান করা প্রাঞ্জল। এদিকে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অমিত। পঞ্চাশ পেরোনোর পর ৫৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন তরুণ এই ব্যাটার।
এরপর শামসুর রহমান ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২০৩ রানে অল আউট হয় শাইনপুকুর। সিটি ক্লাবের হয়ে রবিউল হক তিনটি, ইরফান হোসেন ও রাফসান আল মাহমুদ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২২৬ রানে অল আউট হয় সিটি ক্লাব। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন মাজ আহমেদ সাদাকাত। এ ছাড়া শাহরিয়ার কমল ৫৪ এবং তৌফিক ৪১ রান করেছেন। শাইনপুকুরের হয়ে নাবিল সামাদ তিনটি উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান রানা, ফরহাদ রেজা ও হাসান মুরাদ।