নাসিমের আগুনে পুড়লো ঢাকা

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে বেশ ভুগেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে তাসকিন আহমেদকে সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে লিটন দাস-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের। তবে খুশদিল শাহ এবং জাকের আলি শেষের দিকে দ্রুত রান তুলেছেন। আর তাতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলতে পেরেছিল কুমিল্লা। এরপর বোলারদের কল্যাণে এই মাঝারি মানের সংগ্রহ নিয়েই সহজ জয় পেয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। ৫ রান করা মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে ঢাকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসিম শাহ। বিপিএলে এই পাকিস্তানি পেসারের এটা অভিষেক উইকেট। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই রীতিমতো আগুন ঝড়িয়েছেন তিনি। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট।
রান খরায় ভুগতে থাকা সৌম্য সরকার এদিনও সুযোগ নষ্ট করেছেন। ৭ বল খেললেও রান করতে পেরেছেন কেবল ৩। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনও দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন। তিনি যখন ৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তখন ঢাকার সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬।

এরপর নাসিরকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন উসমান ঘানি। কিন্তু অধিনায়ক বেশি দূর এগোতে পারেননি। ইনফর্ম নাসির এদিন কাটা পড়েছেন ১৭ রানে। এরপর আরিফুল হক-মুক্তার আলিরা চেষ্টা করেছেন বটে কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
উসমানের ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তোলেছে ঢাকা। এরফলে ৬০ রানের সহজ জয় পেয়েছে কুমিল্লা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কুমিল্লাকে চাপে ফেলেন ঢাকা ডমিনেটর্সের বোলাররা। চাপমুক্ত হতে শট খেলতে গিয়ে আল আমিন হোসেনের দারুন এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৭ বলে ৩ রানে তিনি ফিরলেও লিটন ও ইমরুল মিলে হাল ধরেন দলের।
তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লে পার হলেও নাসির হোসেনকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আরিফুল হকের তালুবন্দি হন লিটন। ২০ বলে ২০ রান করে তিনি ফিরলে ইমরুল ও জনসন চার্লস মিলে দলকে পঞ্চাশের ঘরে নিয়ে যান।
তবে মির হামজার বল লাইনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ইমরুল। ২২ বলে ২৮ রানে অধিনায়ক ফিরলে দলীয় ১০০'র আগে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন চার্লস। ২৫ বলে ৩২ রানে এই ক্যারিবিয়ান বিদায় নিলেও খুশদিল শাহ'র ব্যাটে ১০০ পার করে কুমিল্লা।
কিন্তু ১৭ ও ১৮তম ওভারে মোসাদ্দেক ১১ বলে ৯ ও খুশদিল ১৭ বলে ৩০ রাঙে ফিরলে কুমিল্লার জন্য ১৫০ ছোঁয়ার পথটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। শেষের দিকে নেমে জাকের আলি ও আবু হায়দার রনি মিলে শেষ ওভারে দলকে ১৫০'র ঘরে নিয়ে যান।
এরপর ১৯তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে বলে তাসকিনকে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে দলের স্কোর ১৬০'র ঘরে নিয়ে যান জাকের। শেষ বলে এক রান নিয়ে দলের রান ১৬৪তে নিয়ে থামান জাকের। ১৯ রান নিয়ে ২ উইকেট নেন নাসির।