শতভাগ জয় নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছে সিলেট

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিপিএলে শাস্তি পেয়ে ডিপিএলে ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব
৩১ জানুয়ারি ২৫
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ২০১/৭ (২০ ওভার) (হৃদয় ৮৪, শান্ত ৫৭) (আল আমিন ৩/৪৬)
ঢাকা ডমিনেটর্স- ১৩৯ অল আউট (১৯.৩ ওভার) (নাসির ৪৪, মিঠুন ৪২) আমির ২/১৯)
জয়রথ থামছেই না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ফলে শতভাগ জয় নিয়ে এখন চট্টগ্রাম পর্বে খেলতে নামবে দলটি।

২০২ রানের পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে'তে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে ঢাকা। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। তার উইকেটটি নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ১৬ রানে দিলশান মুনাবিরা ফেরেন মোহাম্মদ মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে।
পাওয়ার প্লে'র শেষ হওয়ার আগে ৩০ রানে সৌম্য সরকারকেও সাজঘরে ফেরান মাশরাফি। ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসলেও নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার হওয়ার সঙ্গে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে ঢাকা।
এই জুটিতে দুজন মিলে ৭০ রান যোগ করার সঙ্গে দলকে ১০০'র ওপর নিয়ে যান। তবে ১০৭ রানে মোহাম্মদ মিঠুন ফেরেন থিসারা পেরেরাকে উইকেট দিয়ে। ২৮ বলে ৪২ করেন তিনি। এরপরই ধ্বস নামে ঢাকার শিবিরে।
১১২ থেকে ১২০ রানের মধ্যে আরও ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন নাসির। হাতে চোট পাওয়ায় আর ব্যাটিংয়ে নামেননি। তাই শেষ ব্যাটার হিসেবে বোলিংয়ে এসে নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন আল আমিনকে। ১৩৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ৬২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে মোহাম্মদ হারিস উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারালেও এই ম্যাচেও দলটির হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয়।
দুজন মিলে পাওয়ার প্লে'তে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫০ রান। দলের সংগ্রহ ৫০ এর উপরে নিয়ে যাওয়ার পর আরও হাত খুলে খেলতে থাকে এই জুটি। দুজনই আক্রমণাত্মক মনোভাবে ব্যাটিং করে দলকে দ্রুত ১০০ রানের ঘরে নিয়ে যান।
শান্ত তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু মাইলফলকে পৌঁছে ৩৯ বলে ৫৭ রান করে আল আমিনের বলে আহমেদ শেহজাদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। খানিক পর চারে নামা জাকির ফেরেন ১০ রানে। তবে দ্রুত ২ উইকেট হারালেও হৃদয় একপ্রান্ত ধরে রেখে রান তুলতে থাকেন। কিন্তু এর মাঝে আরাফাত সানিকে ৬ রানে উইকেট ছুড়ে দেন মুশফিকুর রহিম। হৃদয় এর পর তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
মাইলফলকে পৌঁছে থেমে যাননি হৃদয়। থিসারা ১১ ও ইমাদ ওয়াসিম এক রানে আউট হলেও আকবরকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৮০'র ঘরে নিয়ে যান হৃদয়। নিজেও পৌঁছে যান ৭০'র ঘরে। শেষ ওভারে গিয়ে সিলেটের স্কোরবোর্ডে রান ৬ উইকেটে ১৮৮।
প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৯০'র ঘরে নিলেও দ্বিতীয় বলে আউট হন হৃদয়। ৪৬ বলে ৮৪ রানে আউট হন হৃদয়। এরপর মাশরাফি ক্রিজে এসে দলকে দুইশো'র ঘরে নিয়ে যান। পঞ্চম বলে আকবর রান আউট হলে শেষ বলে এক নিয়ে দলের স্কোর ২০১ এ নিয়ে থামান সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি। অপরপ্রান্তে থাকা রেজাউর রহমান রাজা কোন বল না খেলে ০ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার হয়ে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন আল আমিন।