আম্পায়ারের অনুমতি নিয়েই মাঠে গিয়েছিলেন সাকিব ভাই: মিরাজ
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘দেশের বাইরের চেয়ে দেশে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল’
১১ জুলাই ২৫
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের ব্যাটিং ইনিংস শুরুর আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না কি কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অবশ্য আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের তর্কের পরই জানা যায় কোন বোলারের সামনে কোন ব্যাটার স্ট্রাইক নেবেন তা নিয়ে উত্তেজনার শুরু। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য পরিস্থিতি শিথিল হয়ে যায়।
রংপুরের দেয়া ১৫৯ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে বরিশাল। অবশ্য সেই উত্তেজনা উঠে এসেছে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও। এই বিষয়ে খোলাসা করেছেন ২৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলা ম্যাচ সেরা হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি জানিয়েছেন শুরুতে স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা। তবে বোলিংয়ে শেখ মেহেদীকে দেখে এনামুল হক বিজয় স্ট্রাইক নেয়ার পরিকল্পনা করে। এমনটা থেকে বোলার পরিবর্তন করতে যাচ্ছিলেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এরপরই এই বিপত্তি ঘটে।

মিরাজ বলেন, 'এক প্রান্ত থেকে যে বোলার বল করছিল...আমাদের তো ডানহাতি-বাঁহাতি ক্রিজে ছিল। যেহেতু মেহেদী শুরু করছিল, আমাদের বাঁহাতি ব্যাটার চাতুরাঙ্গা স্ট্রাইক এন্ডে ছিল। সাকিব ভাই এখান থেকে বলছে যেন ডান হাতি ব্যাটার স্ট্রাইক নেয়, নিলে একটা এডভান্টেজ পাবে। কারণ এক-দুইটা বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাই বাইরে থেকে এটাই বলছিল।'
আইপিএল-পিএসএলের সময় হতে পারে বিপিএল, বাড়তে পারে ভেন্যু
১০ জুলাই ২৫
সোহান হয়তো ঠাট্টার ছলে এমনটা করতে পারেন বলে মনে করেন মিরাজ। তার ভাষ্য, 'তারপর যখন আবার বিজয় ভাই স্ট্রাইকে আসছে, ওরা আবার বাঁহাতি বোলার নিয়ে এসেছে। তখন আবার ও বদলাচ্ছিল। জিনিসটা ওরকম ছিল। কিন্তু এটা যে অনেক কিছু এরকম কিছু না। ওরাও এডভান্টেজ নিতে চাচ্ছিল, হয়তো দুষ্টমি করছিল সোহান ভাই ওই সময়ে।'
পরিস্থিতি যেমনই হোক দুই ব্যাটার মাঠে থাকা অবস্থায় সাকিবের মাঠে নেমে যাওয়া ঠিক ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, 'একটা জিনিস দেখেন, পরিস্থিতি এমন ছিল; বিজয় ভাইকে যখন বলছিল, তখন কিন্তু আম্পায়ারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। অধিনায়ক তো মাঠে যেতে পারে। অনেক সময় যেতে পারে না?'
মিরাজ এরপর অবশ্য নিশ্চিত করেছেন আম্পায়ারের অনুমতি নিয়েই মাঠে ঢুকেছিলেন বরিশালের অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে তো কথা বলছে। এখানে যে আম্পায়ার ছিল, থার্ড আম্পায়ার (আসলে চতুর্থ) সঙ্গে আগে কথা বলছে। আম্পায়ারের সঙ্গে যে কথা হয়েছে। তখন তো খেলা চলছিল, খেলার ভেতর ঢুকে গিয়েছিলাম। ড্রেসিং রুমে কোনো আলোচনা হয়নি। ওরকম কথা হয়নি।’