সিলেটের তিনে তিন
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএল-পিএসএলের সময় হতে পারে বিপিএল, বাড়তে পারে ভেন্যু
১০ জুলাই ২৫
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) জিতেই চলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে দলটি।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১২ রানেই মোহাম্মদ হারিসের উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। তবে শুরুতে ধাক্কা খেলেও তা দ্রুতই সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। গেল ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও জুটি গড়েন তারা।
তবে দলকে পাওয়ার প্লে পার করিয়ে দলীয় ৫৫ রানে আউট হন শান্ত। ২১ বলে ১৯ রানে তিনি ফিরলেও হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান যোগ করতে থাকেন জাকির হাসান। কিন্তু তাদের ৩০ রানের জুটিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মোহাম্মদ নবি।
১০ বলে ২০ রান করলেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির। সঙ্গী হারিয়ে অবশ্য ব্যাকফুটে যাননি হৃদয়। উল্টো আক্রমণাত্মক শটস খেলে কুমিল্লা ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই তরুণ। সঙ্গে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। তবে ৩৭ বলে ৫৬ রান করার পর দলীয় ১২৭ রানে হৃদয় বিদায় নেন খুশদিল শাহর ওভারে।

ক্রিজে নেমে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দেয়া থিসারাও ফেরেন দ্রুত। ৮ রানে নবির শিকার হয়ে তিনি ফিরলেও আকবর আলী ও মুশফিক মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। অভিজ্ঞ মুশফিক ২৮ ও আকবর ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। নবি ও খুশদিল নেন ২টি করে উইকেট। এই পরাজয়ে টানা দুই ম্যাচের দুটিতেই হারল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। স্কোরবোর্ডে ৯ রান তুলতেই প্রথম ওভারে লিটন দাসকে হারিয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮ রান করে লিটন ফিরলেও তিনে নামা সৈকত আলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিড মালান।
এই জুটিতে স্কোরবোর্ডে আরও ২৬ রান যোগ করে কুমিল্লা। যার মধ্যে ২০ রানই ছিল সৈকতের। তবে দলীয় ৩৭ রানে ১২ বলে ২০ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হন তিনি। সৈকতের বিদায়ে ক্রিজে নেমে ২ রানের বেশি করতে পারেননি দলপতি ইমরুল কায়েস।
২ রান করে তিনি ফেরেন মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে। তবে পাওয়ার প্লে'তে ৩ উইকেট হারালেও মালান ও জাকের আলি মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। মালান ধীরগতিতে খেললেও জাকের হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে ৩৯ বলে ৩৭ রানে ফেরেন মালান।
পেরেরার শিকার হয়ে তিনি ফিরলেও জাকের ও মোসাদ্দেক মিলে রান বাড়াতে থাকেন। জাকের আক্রমণাত্মক খেললেও ৬ বলে ৫ করে ফেরেন মোসাদ্দেক। এর মাঝে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে দলকে ১৫০'র পথে নিয়ে যেতে থাকেন জাকের। তবে শেষ ওভারে এসে মাশরাফির ইয়র্কারে বোল্ড হন মোহাম্মদ নবি।
৮ বলে ৭ রান করে ফেরেন তিনি। সেই ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে দেড়শোর কাছে নিয়ে যান আবু হায়দার। শেষ বলে এক নিয়ে দলীয় রান ১৪৯ এ নিয়ে থামান হায়দার। ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আমির, মাশরাফি এক উইকেট নিতে খরচ করেন ৩৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৪৯/৬ (২০ ওভার) (জাকের ৫৭*, মালান ৩৭) (আমির ২/২২)
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৫০/৬ (১৮ ওভার) (হৃদয় ৫৬, মুশফিক ) (নবি ২/২৮)