অলরাউন্ডার নাসিরে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল ঢাকা
ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএল-পিএসএলের সময় হতে পারে বিপিএল, বাড়তে পারে ভেন্যু
১০ জুলাই ২৫
তারকা সম্পন্ন দল নিয়েও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নবম আসরের শুরুটা ভালো হয়নি খুলনা টাইগার্সের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে ইয়াসির আলি রাব্বির দল। ১১৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে নাসির হোসেনের ঢাকা।
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখে শুনেই করেন আহমেদ শেহজাদ ও দিলশান মুনাবিরা। তবে দলীয় ১৬ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন শেহজাদ। এরপর ক্রিজে নেমে মুনাবিরার সঙ্গে জুটি বেধে পাওয়ার প্লে শেষ করেন সৌম্য সরকার।
এর আগে পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে সৌম্য একবার আউটও হয়েছিলেন। তবে নাসুমের করা বলটি সৌম্যর গ্লাভসে লাগলেও আম্পায়ার আউট দেন। ততক্ষণাৎ রিভিউ নেন সৌম্য। রিভিউতে প্রথমবার আম্পায়ার ফের আউট দেখান তাকে, তবে ফিরতি বার দেখে করার পর নট আউট দেন আম্পায়ার। এ নিয়ে মাঠে তামিমের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় আম্পায়ারের।
তাদের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল খুলনা। তবে অস্টম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজকে স্কোয়ার কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন সৌম্য। যদিও সেই ওভারের প্রথম দুই বলে ওয়াইড-নো ও ফ্রি হিট মিলিয়ে এসেছিল ১৪ রান।
সঙ্গী হারানোর পর মুনাবিরাও উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। দলীয় ৫১ রানে সাইফউদ্দিনের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ২৮ বলে করেন ২২ রান। তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির মিলে দলকে এরপর এগিয়ে নিতে থাকেন।
কিন্তু ১২তম ওভারের শেষ বলে ভ্যান ম্যাকেরেনের সোজা বল মিস করেন মিঠুন। স্টাম্প ভেঙে যাওয়ার পূর্বে করেন ১২ বলে ৮ রান। তবে অভিজ্ঞ নাসির উইকেটে টিকে থেকে লড়াই করতে থাকেন ঢাকার পক্ষে। তাকে সঙ্গ দেন উসমান ঘানি।

দলীয় ৮৯ রানে থার্ড ম্যানে নাসিরের ক্যাচ ছেড়ে বসেন শারজিল খান। শেষ ৩ ওভারে জিততে ঢাকার প্রয়োজন হয় ১৭ রানের। সেই ওভারে দলীয় ১০০ রানে ঘানিকে বিদায় করেন সাইফউদ্দিন। ১৪ রানে আউট হন এই ব্যাটার।
যদিও সেই ওভারে ৪ মেরে ঢাকার পথ সহজ করেন নাসির। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে পঞ্চম বলে আবারও জীবন পান নাসির। তার ক্যাচ ফেলেন ইয়াসির আলি। যদিও শেষ বলে এক রান নিয়ে ওভার শেষ করেন এই ব্যাটার। শেষ ৬ বলে এক রানের প্রয়োজন ছিল ঢাকার।
২০তম ওভারের প্রথম বলে নাহিদুলকে মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন নাসির। ৩৬ বলে ৩৬ রানে নট আউট থাকেন ঢাকার অধিনায়ক। ২২ রান দিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট।
এর আগে প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনও দিনের খেলায় স্কোরবোর্ডে বেশি রান তুলতে পারেনি ব্যাটিং দল। উইকেট ও কন্ডিশনের সঠিক ব্যবহার করে শুরু থেকেই খুলনার ওপেনারদের চাপের মধ্যে রাখেন তাসকিন আহমেদ ও নাসির হোসেন। তামিম ও শারজিল খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাসিরের বলে বোল্ড হন শারজিল।
১১ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটিকে বিপদমুক্ত করতে পারেনি তামিম ও মুনিম শাহরিয়ার জুটি। ১৬ রানে ৪ রান করে আল আমিনের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন মুনিম। এরপর আরাফাত সানিকে উইকেট ছুড়ে দেন তামিমও। ১৫ বলে ৮ রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
২৮ রানে ৩ উইকেট হারালেও আজম খান ও ইয়াসির আলি মিলে দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে দলীয় ৪৯ রানে আরাফাত সানির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন আজম। ১২ বলে ১৮ রান করে তিনি ফিরলে ইয়াসিরকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এই জুটিতে ৩১ রান যোগ করে??? তারা। তবে দলীয় ৭৪ রানে এক ছক্কা হাঁকানোর পর পরের বলে আবারও মারতে গিয়ে নাসিরকে উইকেট ছুড়ে দেন ইয়াসির। ২৫ বলে ২৪ রান করে অধিনায়ক ফিরলে সাইফউদ্দিন বিদায় নেন দলীয় ৮৭ রানে।
এরপর সাব্বির রহমান ও নাহিদুল ইসলামের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার করে খুলনা। শেষ ওভারে আল আমিনের ওভারে দারুন এক ক্যাচে নাহিদকে বিদায় করেন আরিফুল হক। এরপর টানা দুই বলে চার-ছক্কা হাঁকান ওয়াহাব রিয়াজ। তবে চতুর্থ বলে তাকেও বিদায় করেন আল আমিন। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট।
পঞ্চম বলে বাই এক রান নিয়ে সাব্বিরকে স্ট্রাইক দেন ভান ম্যাকেরেন। তবে ইনিংসের শেষ বলে দুই রান নিয়ে খুলনাকে ১১৩ রানের পুঁজি এনে দেন সাব্বির। ১০ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আল আমিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা টাইগার্স: ১১৩/৮ (২০ ওভার) (ইয়াসির ২৪, সাইফউদ্দিন ১৯) (আল আমিন ৪/২৪)
ঢাকা ডমিনেটর্স: ১১৭/৪ (১৯.১ ওভার) (নাসির ৩৬*, মুনাবিরা ২২) (সাইফউদ্দিন ২/২২)