সরফরাজের সেঞ্চুরিতে ড্র করলো পাকিস্তান

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই

২ ঘন্টা আগে
এসিসি সভায় জয় শাহ ও অন্যরা

করাচি টেস্ট জিততে শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩১৯ রান, আর হার এড়াতে খেলতে হবে পঞ্চম দিনের পুরো ৯০ ওভার। স্বাগতিকদের হাতে ছিল ৮ উইকেট। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা জয়ের বন্দরে পৌঁছতে পারেনি। তবে সরফরাজ আহমেদের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ড্র করছে। 


শেষদিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ ছিল না মোটেও। বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগের দিন রানের খাতা খোলার আগেই তারা হারিয়েছিল দুই উইকেট। শেষ দিনের প্রথম সেশনে আরও তিন উইকেট হারিয়ে ফেললে হারের শঙ্কা ভর করে বাবর আজমদের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাতা রূপে আবির্ভূত হন সরফরাজ।


৩১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দিনভর ব্যাট করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। মাইকেল ব্রেসওয়েলের দারুণ বোলিংও জয় এনে দিতে পারেনি নিউজিল্যান্ডকে। অথচ দিনের প্রথম সেশন শেষেও চালকের আসনেই ছিল সফরকারীরা।


promotional_ad

শেষ বিকেলে সেঞ্চুরিয়ান  সরফরাজকে তুলে নিলেও যথাক্রমে ১০ ও ১১ নম্বরে নামা নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ হতাশ করেন কিউইদের। নিউজিল্যান্ডের জয়ের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় শেষ উইকেট জুটি। আর তাদের কল্যাণে ম্যাচ বাচাঁয় স্বাগতিকরা।


আরো পড়ুন

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়ের দল ঘোষণা

১০ জুলাই ২৫
জিম্বাবুয়ে দল

এর আগে দলীয় ৩৫ রানে আগের দিন অপরাজিত থাকা ইমাম-উল-হককে তুলে নেন ইশ সোধি। ১২ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। খানিক বাদে দলকে বিপদে রেখে ফিরে যান অধিনায়ক বাবরও। ডানহাতি স্পিনার ব্রেসওয়েলের বলে আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ২৭ রান করেন তিনি। বাবরের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এক ওভার বাদে ফিরে যান শান মাসুদও। তার ৬৬ বলে করা ৩৫ রানের ইনিংসের ইতি টানেন এই ব্রেসওয়েলই।


মাত্র ৮০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত হার দেখছিল তখন পাকিস্তান। সেখান থেকেই খেলার চিত্র বদলানো শুরু করেন সরফরাজ। সৌদ শাকিলকে নিয়ে গড়েন ১২৩ রানের জুটি। সরফরাজ ফিফটি তুলে নিলেও ১৪৬ বলে ৩২ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শাকিল। এবারও ঘাতক সেই ব্রেসওয়েল। সপ্তম উইকেটে আগা সালমানের কাছ থেকেও সমর্থন পান সরফরাজ, নিরিবিচ্ছিন্ন থেকে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান যোগ করে এই জুটি।


৭৩তম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে দুই রান নিয়ে শতক পূর্ণ করেন সরফরাজ। দিনের খেলা তখন শেষ সেশনে, দুই পাক ব্যাটারই সেট ছিলেন উইকেটে। ফলে ম্যাচ কিছুটা একপেশে হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের দিকে। তার ওপর জয়ের জন্য সালমান ব্যাট করছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। কিন্তু তখনই আঘাত হাতে ব্ল্যাক ক্যাপসরা, ৪০ বলে ৩০ রান করে হেনরির বলে বোল্ড হয়ে যান সালমান। আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে নিউজিল্যান্ড।


এরপর তিন টেল এন্ডারকে নিয়ে শুরু হয় সরফরাজের লড়াই। সুযোগ বুঝে চেপে ধরে কিউইরা, দ্রুতই হাসান আলিকে ফেরান টিম সাউদি। ৮৭তম ওভারে পাকিস্তানের রান যখন ২৮৭, তখনই সরফরাজের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন ব্রেসওয়েল। কেইন উইলিয়ামসন ক্যাচ নিলে ইতি ঘটে ১৭৬ বলে নয় চার এক ছক্কায় করা ১১৮ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংসের। এই উইকেট শিকার করে জয়ের সুবাতাস পেতে থাকে নিউজিল্যান্ড।


কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা লিখে রেখেছিলেন ভিন্ন কিছু। সরফরাজের পরিশ্রম বৃথা যেতে দিলেন না নাসিম-আবরার জুটি। মাত্র ২১ বলে ১৭ রান যোগ করে তারা কাটিয়ে দেন দিনের বাকিটা সময়। নিশ্চিত জয় তুলে নিতে না পারায় হতাশ হতে হয় কিউইদের।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball