আমিরের দীক্ষা বিপিএলে কাজে লাগাতে চান মৃত্যুঞ্জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএল-পিএসএলের সময় হতে পারে বিপিএল, বাড়তে পারে ভেন্যু
১০ জুলাই ২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলা টাইগার্সের হয়ে টি-টেন খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ আমিরের সান্নিধ্য পান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। পাকিস্তানের এই পেসারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত দীক্ষাও নেন তিনি। আমিরের শেখানো কৌশল আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কাজে লাগাতে চান মৃত্যুঞ্জয়।
টি-টেনে সেভাবে খেলা হয়নি মৃত্যুঞ্জয়ের। চেন্নাই ব্রেভস এবং আবুধাবির বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ব্রেভসের বিপক্ষে বিনা উইকেটে খরচ করেন ৩১ রান। আবুধাবির বিপক্ষে একটি উইকেট নিতে খরচ করেন ১৭ রান।
দুটো ম্যাচেই বোলিং কোটা (২ ওভার) পূরণ করেন তিনি। ইকোনমি রেট কিছুটা বেশি মনে হলেও দশ ওভারের ক্রিকেটের বাস্তবতায় সেটা অনেক বেশি নয়। বিপিএলের আগে এখান থেকেই মনোবল খুঁজে নিচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এই পেসার বলেন, 'হ্যাঁ একসাথে থাকার কারণে (শেখা হয়েছে)। আমরা সবাই জানি আমির বিশ্বমানের বোলার। তিনি আমাকে অনেক বড় কোনো টিপস দেয়নি কিন্তু ছোট ছোট যেগুলো বলেছে সেগুলো আমার প্রয়োজন ছিল। আগে যেসব লিগ খেলতাম সেখানে এক-দুইটা ভুল করলে সমস্যা ছিল নাম কিন্তু টি-টেনে আমি যখন প্রথম দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছিলাম ছোট ছোট কিছু ভুল আমাকে ভোগাচ্ছিল।'
'এরপর আমির ভাই আমাকে ছোট ছোট কিছু টিপস দেয় যা আমাকে খুব সাহায্য করে। আর শেষ ম্যাচটা আমি মনে করি আমার জন্য খুব ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। এ টুর্নামেন্টে আমাকে সাহায্য করবে।'
শুধু আমির নন, বাংলা টাইগার্সের হয়ে এবার টি-টেনে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসানও। স্বদেশের সেরা ক্রিকেটারের কাছ থেকে পাওয়া দীক্ষাও বিপিএলে কাজে লাগানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মৃত্যুঞ্জয়।
তিনি আরও বলেন, 'আর গত এক মাস আগে আমি টি-টেন খেলতে গিয়েছিলাম। আমি বলবো যে এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত যে এতো সুন্দর জায়গায় খেলতে পারলাম। আর অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমার অউরো ক্যারিয়ারে ওই এক মাস ছিল সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা।'
'আমি বিশ্বমানের বোলার আমিরের সাথে ছিলাম, সাকিব ভাইয়ের খুব কাছে ছিলাম এবং বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের আমি কাছ থেকে দেখেছি। সে হিসাবে আমি বলবো আমার ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা হয়েছে, খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের জন্য। আমি ইন শা আল্লাহ এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।'