পাকিস্তানের দুটি ‘জাতীয় দল’ তৈরি করতে চান আফ্রিদি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের দল নির্বাচন নিয়ে আফ্রিদির প্রশ্ন
২০ মার্চ ২৫
ভারত ও ইংল্যান্ডে একই সঙ্গে দুটি জাতীয় দল খেলানোর সংস্কৃতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও পাকিস্তানের ক্রিকেটে এখনও তেমন কিছু দেখা যায়নি। তবে তাদের পথে হাঁটতে চায় পাকিস্তান। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাকিস্তানের দুটি জাতীয় দল গড়ে তুলতে চান শহীদ আফ্রিদি।
সবশেষ কবছরে একই সঙ্গে দুটি জাতীয় দল খেলানো প্রবণতা কয়েকগুন বেড়েছে। ঠাসা সূচির কারণ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়া কিংবা প্রায় সাংঘর্ষিক সূচির কারণে এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য হন ক্রিকেট বোর্ডগুলো। ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে দুটি জাতীয় দল খেলিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।

সেবার কমনওয়েলথ গেমস ও সাহারা কাপের জন্য ভিন্ন দুটি দল গড়েছিল তারা। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডে ভিন্ন দুটি দল খেলেছে ভারতের। যেখানে লঙ্কা দ্বীপে ভারতকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সামলেছেন শিখর ধাওয়ান আর ইংলিশ ডেরায় টেস্ট খেলতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন বিরাট কোহলির দল। ভারত ছাড়াও দুটি দল নিয়ে এগোচ্ছে ইংল্যান্ড।
ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই
৬ ঘন্টা আগে
গত বছরের জুনে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ভিন্ন দেশে দুটি জাতীয় দল খেলিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সেসময় নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন জস বাটলাররা। এ ছাড়া ভিন্ন ভেন্যুতে আলাদা দুটি দল খেলানোর সাহস দেখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদেরও বেঞ্চের শক্তি তেমনই করতে চান আফ্রিদি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘বেঞ্চের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে আমার এই দায়িত্বকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের দুটি জাতীয় দল তৈরি করতে চাই।’
নির্বাচকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্কের দূরত্ব নিয়েও কথা বলেছেন আফ্রিদি। সাবেক এই অলরাউন্ডার মনে করেন, তাদের মাঝে যোগাযোগের ঘাটতি ছিল। ক্রিকেটারদের আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে কথা বলে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন বলে জানান আফ্রিদি। যে কারণে ক্রিকেটার ও নির্বাচক কমিটির মাঝে সরাসরি যোগাযোগ রাখার পক্ষে তিনি।
আফ্রিদি বলেন, ‘আমার মনে হয়, অতীতে সবার মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতি ছিল। সব ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে কথা বলে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি আমি। যেমন হারিস (সোহেল) ও ফাখরের (জামান) সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। ওদের ফিটনেস টেস্ট নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ক্রিকেটার ও নির্বাচক কমিটির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকা উচিত।’