ওয়াহাবের মেসেজের রিপ্লাই দিতেন না রমিজ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘প্রতিভাবান’ নাহিদের প্রশংসায় ওয়াহাব রিয়াজ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলে নেই ওয়াহাব রিয়াজ। বয়স ত্রিশ পেরোনোর কারণে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। এদিকে সদ্য সমাপ্ত চেয়ারম্যান রমিজ রাজাকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ওয়াহাব। অভিজ্ঞ এই পেসার জানান, রমিজকে মেসেজ করলেও তিনি রিপ্লাই দিতেন না।
ইমরান খানের আস্থাভাজন হওয়ায় ২০২১ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান রমিজ। পিসিবির দায়িত্ব নিয়েই ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাপক উন্নতি করেছেন তিনি। এ ছাড়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) জাঁক-জমক করে তুলেছেন সাবেক এই চেয়ারম্যান। তবুও রমিজকে বরখাস্ত করে নাজাম শেঠিকে চেয়ারম্যান করে পাকিস্তান।

রমিজের অধীনে তার বোর্ডের সদস্যরা খুশি ছিলেন না বলে জানান ওয়াহাব। এদিকে রমিজ চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাকে ৪-৫ বার মেসেজ দিয়েছিলেন এই পেসার। তবে পিসিবির সাবেক সভাপতি ওয়াহাবের মেসেজের রিপ্লাই দেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুল করা বাংলাদেশের রুটিন হয়ে গেছে: রমিজ রাজা
৩১ মে ২৫
এ প্রসঙ্গে ওয়াহাব বলেন, ‘আমি একজন বোর্ড সদস্যের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে জানায়, রমিজ রাজা চলে যাওয়ায় সে খুশি হয়েছেন। সুতরাং, আপনার অধীনে যারা কাজ করতেন, তারাই আপনার কাজে খুশি ছিলেন না। রমিজ ভাই চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমি ৪-৫ বার তাকে মেসেজ করেছিলাম। লিখেছিলাম যে, আমি তার মেসেজ বা ফোন কলের অপেক্ষা করছি। উনি কখনই রিপ্লাই দেননি। কেন? আমি তো এখনও বর্তমান ক্রিকেটার। আমি এখনও অবসর নিইনি।’
পিসিবি সভাপতি ছাড়াও প্রধান নির্বাচকের সমালোচনা করেছেন ওয়াহাব। পাকিস্তানের ক্রিকেটে ৩০ পেরোলে সবাইকে আনফিট মনে করা হয় বলে দাবি করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। ওয়াহাবদের মতো অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে যাদের খেলানো হয়েছে তারা কতটা পারফর্ম করেছে সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ওয়াহাব বলেন, ‘বয়স ৩০ পেরোলেই কাউকে পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য আনফিট মনে করা হয়। তারা বলেন এতে নাকি দলের একতা নষ্ট হবে এবং পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। তারা যাদের নির্বাচিত করেছে তাদের মধ্যে কে ভালো পারফরম্যান্সে করেছে বলতে পারবেন?’
‘আমার মনে হয় না রমিজ রাজাদের আমলে ওই সব প্লেয়ারদের মতো এতো সুযোগ আর কেউ পেয়েছে বলে। আমরা নিজেদের প্রমাণ করার জন্য দুটির বেশি ম্যাচ পাইনি। তারপরেও নির্বাচক প্রধান বুক ফুলিয়ে বলেন, এই দলটা আপনাদের অনেক খুশি উপহার দিয়েছে। মানে টা কী!’