হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে নেমে কিশানের রানও করতে পারল না বাংলাদেশ

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং পছন্দ করা শামীম জানালেন, এটাই তাঁর কাজ

৭ ঘন্টা আগে
ক্রিকফ্রেঞ্জি

হালকা ঘাসে খানিকটা সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল পেসারদের। তাসকিন আহমেদ-এবাদত হোসেনদের আগুনে বোলিংয়ে শুরুর দাপটটা থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের। অথচ চার-ছক্কার বৃষ্টিতে পুরো ম্যাচের চিত্রটাই বদলে দিলেন ইশান কিশান। বাঁহাতি এই ওপেনারের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারতের পুঁজি পেরিয়ে গেল চারশ। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। হোয়াটইওয়াশের লক্ষ্যে নেমে লিটন দাসের দল হেরেছে ২২৭ রানে। শেষ ওয়ানডের জয়ে আরও একবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো ভারত।


চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন লিটন দাস এবং এনামুল হক বিজয়। ভারতীয় পেসারদের সহজেই খেলে প্রথম ৪ ওভারে তোলেন ৩৩ রান। মোহাম্মদ সিরাজরা সুবিধা করতে না পারায় অক্ষর প্যাটেলকে বোলিংয়ে আনেন লোকেশ রাহুল। বোলিংয়ে এসেই বিজয়কে ফেরান অক্ষর। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে এক্সট্রা কভারের দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বিজয়। তবে সেটা লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা সিরাজের হাতে গেলে মাত্র ৮ রানে ফিরে যেতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।


বিজয়ের পর ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেন সাকিব আল হাসান। চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। সাকিবকে সঙ্গ দেয়া লিটন অবশ্য খানিকটা দমে গিয়েছিলেন। বিজয়ের মতো এক্সট্রা কভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে ব্যর্থ হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৯ রান করে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।


লিটন ফিরলেও দ্রুত রান তুলতে মনোযোগী ছিলেন সাকিব। ভারতের পেসারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটার এদিনও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অক্ষরের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৭ রান করা মুশফিক। ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। 


চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৪ রান। তবে থিতু হয়ে আউট হওয়া ইয়াসির ফিরলে ভাঙে এই জুটি। উমরান মালিকের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি তার। ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলেন না ৩০ বলে ২৫ রান করা ইয়াসির।


দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি সাকিবের। কুলদীপ যাদবের লেগ স্টাম্পের বল অফ সাইডে কাট করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে ৪৩ রান সাকিবকে। ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন ২০ রান করা এই ব্যাটার।


promotional_ad

ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে সাজঘরে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। পুরো সিরিজেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। শার্দুলের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে স্টেপ আপ করে খেলতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে থাকা উমরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮ রানে ফিরেছেন আফিফ। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ এদিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি।


আরো পড়ুন

‘শেষে যা ঘটেছে, ওটা খেলারই অংশ’, গিলের আগ্রাসন নিয়ে রাহুল

১৮ ঘন্টা আগে
জ্যাক ক্রলিকে শাসাচ্ছেন শুভমান গিল, ফাইল ফটো

শার্দুলের বলে সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৩ রানে ফিরেছেন তিনি। এই সিরিজে প্রথমবারের মতো আউট করতে পেরেছেন ভারতের বোলাররা। একই ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন এবাদত। শেষদিকে তাসকিন এবং মুস্তাফিজুর রহমানের ৩৩ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ১৩ রান করা মুস্তাফিজ উমরানের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরলেও ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন। ভারতের হয়ে শার্দুল তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অক্ষর ও উমরান।


এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন। এরপর উইকেটের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। মিরাজের করা লেংথ ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন শিখর ধাওয়ান। যদিও শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করলেও ইম্প্যাক্ট ও হিটিং উইকেটের মধ্যেই।


এরপর বাকি সময়টা ছিল কিশানময়। কোহলিকে নিয়ে তিনি দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ২৯০ রান। এই জুটির পথে সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলিও। যদিও ভারতীয় এই ব্যাটার ইনিংসের সপ্তম ওভারে জীবন পেয়েছিলেন লিটনের হাতে। ব্যক্তিগত এক রানে তিনি মিরাজের বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো না হলে তা চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে। সেখানে ফিল্ডিং করা লিটন সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি।


এদিকে, শুরুতে দেখেশুনে খেললেও উইকেটে থিতু হয়েই হাতখুলে খেলেছেন কিশান। তিনি ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সেঞ্চুরি পেতে তিনি খেলেছেন মাত্র ৮৫ বল। ইনিংস বড় করে ১২৬ বলে তুলে নিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিও। বলের হিসেবে ক্রিস গেইলকে টপকে সবচেয়ে কম বলে ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন কিশান। এদিকে বীরেন্দ্রর শেবাগ, শচীন টেন্ডুলকার এবং রোহিত শর্মার পর ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুর করেছেন তিনি।


ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর কিশানকে আর রান বাড়াতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসারের স্লোয়ার বলে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন লিটনের হাতে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি এবাদতের বলে চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট কাভারে লিটনের হাতে। এরপর কোহলি ৮৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।


এবাদতকে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা উড়িয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছান ভারতের এই স্টাইলিশ ব্যাটার। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লোকেশ রাহুল। তিনি এবাদতের করা ফুল লেন্থের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন। সেঞ্চুরিয়ান কোহলিকে আউট করেছেন সাকিব। এই টাইগার স্পিনারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ নিয়েছেন মিরাজ। শেষদিকে ভারতের রান বাড়াতে থাকা অক্ষর প্যাটেলকে ব্যক্তিগত ২০ রানে বোল্ড করেছেন তাসকিন আহমেদ।


এদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর ৩৭ রান করে আউট হন সাকিবের বলে। ভারতের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। ৩ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, এবাদত এবং সাকিব। তবে কিশান ও কোহলির ব্যাটে ৪০৯ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। এদিন ইংল্যান্ডের ৩৯১ রান টপকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের পুঁজি গড়ে সফরকারীরা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-


ভারত- ৪০৯/৮ (৩৫ ওভার) (ধাওয়ান ৩, কিশান ২১০, কোহলি ১১৩, সুন্দর ৩৭, প্যাটেল ২০; তাসকিন ২/৬০, সাকিব ২/৬৮)


বাংলাদেশ- ১৮২/১০ (৩৪ ওভার) (লিটন ২৯, বিজয় ৮, সাকিব ৪৩, মুশফিক ৭, ইয়াসির ২৫, মাহমুদউল্লাহ ২০, আফিফ ৮, তাসকিন ১৭*, মুস্তাফিজ ১৩; শার্দুল ৩/৩০, অক্ষর ২/২২)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball