অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে ১৫০ গতি বেগের ‘দ্য ওয়াইল্ড থিং’ মরিস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারায় অনেকদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন ল্যান্স মরিস। গতি ও আগ্রাসনের সঙ্গে বেশ কার্যকারিতাও রয়েছে ডানহাতি এই পেসারের। শেফিল্ড শিল্ড মাতিয়ে জাতীয় দলেও জায়গা করে নিলেন মরিস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে ব্যাকআপ পেসার হিসেবে ডাকা হয়েছে তাকে। যেখানে তার সঙ্গী মাইকেল নিসার।
বলা হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ার এই সময়ের সবচেয়ে দ্রুততম পেসার মরিস। সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে দারুণ সময় পার করছেন ২৪ বছর বয়সি এই পেসার। শেফিল্ড শিল্ডের চলমান মৌসুমে ১৮.৪০ গড়ে ২৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে বিগ ব্যাশের দল মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে অভিষেক হয় মরিসের।

২০২০-২১ মৌসুমে খেলেছেন শেফিল্ড শিল্ডও। সেবার ২৭.০৫ গড়ে নিয়েছিলেন ২০ উইকেট। ব্যাকআপ পেসার হিসেবে ডাক পেলেও অভিষেক হতে পারে ডানহাতি এই পেসারের। চোটের কারণে পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি প্যাট কামিন্স। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট।
যদিও একাদশে জায়গা পেতে মরিসকে টেক্কা দিতে হবে স্কট বোল্যান্ডকে। কারণ জাতীয় দলের জার্সিতে ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই পেসার। তবে মিচেল স্টার্ক বা জস হ্যাজেলউডের কেউ বিশ্রামে থাকলে অনুমেয়ভাবেই সুযোগ পাবেন মরিস অথবা নিসার।
শন টেইটের সঙ্গে মিল থাকায় মরিসকে ডাকা হয়ে থাকে ‘দ্য ওয়াইল্ড থিং’ হিসেবে। এদিকে বছর পাঁচেক আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মরিস। যদিও সেই ম্যাচে ভালো করতে পারেননি তিনি। মরিসের সঙ্গে অ্যাডিলেড টেস্টে থাকছেন এক ম্যাচ খেলা নিসার।
অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারিস, জস হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস ল্যাবুশেন, নাথান লায়ন, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার, মাইকেল নিসার, ল্যান্স মরিস।