মুস্তাফিজকে ২০ বল খেলতে বলেছিলেন মিরাজ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কলম্বোতে খেলবেন মেহেদী, আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন লিটন
৩ ঘন্টা আগে
শেষ উইকেটে ৫১ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে যা এই ম্যাচের আগে করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে মিরপুরে ইতিহাস গড়তে হতো টাইগারদের। মিরাজ-মুস্তাফিজ জুঁটিতে সেটাই করে দেখালো বাংলাদেশ। দশম উইকেটে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫১ রানের অপরাজিত জুঁটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পোঁছে দেন তারা।
১৮৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওপেনার গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরার পর থিতু হতে পারেননি এনামুল হক বিজয়ও। ২৬ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

তবে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ রান আর সাকিব ফিরেছেন ২৯ রান করে। মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করেছেন কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয়েছেন। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের বিদায়ের পরই মূলত পথ হারায় বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১২৮ রান। সেখান থেকে আর মাত্র ৮ রান যোগ করতে আরও ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে ১৩৬ রান তুলতেই ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ তখন হারর প্রহর গুণছিল। আর তখনই 'ম্যাজিকাল মিরাজের' আবির্ভাব।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, 'সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আমি খুবই আনন্দিত। মুস্তাফিজ এবং আমি শুধু নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমরা পারবো। আমি তাকে উইকেটে থেকে অন্তত ২০টা বল খেলতে বলেছিলাম।'
ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। যেখানে বড় অবদান এই অলরাউন্ডারের। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রান। ব্যাটিংয়ে নায়ক বনে যাওয়ার দিনে বল হাতেও অবদান ছিল মিরাজের। ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে শিকার করেছেন গুরুত্বপূর্ণ এক উইকেট।
নিজের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিরাজ বলেন, 'আমি বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। সকালে উইকেট খুবই কঠিন ছিল। এটা আমার জন্য মনে রাখার মতো পারফরম্যান্স।'