promotional_ad

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অলরাউন্ডারে বাজিমাত ইংল্যান্ডের

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


আরো পড়ুন

পান্ত-রাহুলের সেঞ্চুরির পর ভারতের ধস, একদিনে ইংল্যান্ডের চাই ৩৫০

১১ ঘন্টা আগে
লোকেশ রাহুলের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঋষভ পান্তও

রবিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিশ্ব সেরা হওয়ার এই লড়াইয়ে সুপার টুয়েলভে ইতোমধ্যেই জায়গা নিশ্চিত করেছে আট দল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে এই আট দলের সম্ভবনা নিয়ে ধারবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। তৃতীয় দিনে থাকছে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে কাটা-ছেঁড়া।


বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড। যেখানে দুই দলেরই উদ্দ্যেশ্য ছিল শেষবারের মতো নিজেদের পরখ করে নেয়া। সেই প্রস্তুতি পরীক্ষায় লেটার মার্ক তুলেছে ইংলিশরা। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল জস বাটলারের দল। আর শেষ ম্যাচে জয় হয়েছে বৃষ্টির। তাই দুই-শূন্য ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে তারা।


অস্ট্রেলিয়া সফরে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় বেশ কিছু কারণে ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এই সফর বড় ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া স্বাগতিকদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এমন দাপুটে জয় নিশ্চিতভাবেই ইংলিশদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। যার ফলে মানসিকভাবে বেশ ফুরফুরে থাকবে ইংল্যান্ড। কারণ এবারের বিশ্বকাপে যেকোনো দলের জন্যই সবচেয়ে বড় থ্রেট হতে পারে অস্ট্রেলিয়া। আর সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ইংল্যান্ডের জন্য বিশ্বকাপে বাড়তি টনিক হিসেবে কাজ করবে। শক্তিমত্তা, কন্ডিশন আর সাম্প্রতিক ফর্ম সবদিক বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সেরা চারে দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডকে।


সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিং খুবই গুরত্বপূর্ণ। আর ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা এই বিগ হিটিং সামর্থ্য। পাশাপাশি দলে বেশ কয়েক জন অলরাউন্ডার থাকায় অধিনায়কের হাতে প্রচুর অপশন থাকবে। বিশেষ করে মিডল অর্ডার এবং লোয়ার অর্ডারে বেশ কয়কেজন ইংলিশ ক্রিকেটার আছেন, যারা একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন।


promotional_ad

এই তালিকায় আছেন লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, বেন স্টোকস কিংবা স্যাম কারানের মতো ক্রিকেটাররা। এই ক্রিকেটারদের সবাই ব্যাট হাতে যেমন বড় শট খেলতে পারেন, ঠিক তেমনি বল হাতেও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংলিশদের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন লিভিংস্টোন।


আরো পড়ুন

এক বছর ঝুলিয়ে রাখার পর ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দিচ্ছে ওমান

১৫ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

লম্বা বিরতির পর আবারও দলে ফিরেছেন অ্যালেক্স হেলস। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরলেও ব্যাট হাতে সাবলীল এই ইংলিশ ওপেনার। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি করে নিজেকে আরও একবার প্রামাণ করেছেন। ফিটনেস আর ফর্ম বিবেচনায় একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে।


ওপেনিংয়ে জস বাটলারের সঙ্গী হবেন হেলস। তবে নেতৃত্ব সামলানোর পাশাপাশি ইংলিশদের ভালো শুরু এনে দেয়ার দায়িত্বটা থাকব বাটলারের কাঁধেই। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্যাট হাতে নিজের সেরা সময় পার করছেন। গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও তার ব্যাটে রানে ফোয়ারা ছুটেছিল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সেরা পাঁচে দেখা যেতে পারে বাটলারকে। এই দুই ওপেনারের ব্যাকআপ হিসেবে স্কোয়াডে আছেন ফিল সল্ট।


তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে খেলবেন ডেভিড মালান। টি-টোয়েন্টির সেরা দশ ব্যাটারের তালিকায় থাকা মালানের সাম্প্রতিক ফর্মটা তার পক্ষে না। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। নিজের দিনে প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারেন তিনি। চারে খেলবেন লিভিংস্টোন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন এই ব্যাটার। তার কব্জিতে বেশ জোরও আছে। সবমিলিয়ে লিভিংস্টোনের ব্যাট হাসলে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটবে ইংল্যান্ড।


পাঁচ নম্বরে দেখা যাবে বেন স্টোকসকে। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ইতোমধ্যেই পরীক্ষিত। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার দলের ব্যাটিং লাইন আপে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। ছয়ে খেলবেন আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মঈন আলি। মিডল অর্ডারে এই তিন জনের বিকল্প হিসেবে আছেন হ্যারি ব্রুক। সব ঠিক থাকলে পুরো বিশ্বকাপ সাইড বেঞ্চে বসেই কাটাতে হবে এই ব্যাটারকে।


ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব থাকবে সাতে খেলতে নামা কারানের ওপর। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ব্যাট হাতেও যথেষ্ট কার্যকরী। উইকেটে এসে প্রথম বল থেকেই শট খেলতে পারেন,পাওয়ার হিটিংয়েও বেশ দক্ষ সবমিলিয়ে তার ওপর ভরসা রাখছে ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট।


ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার আদিল রশিদ। স্কোয়াডে তার কোনো প্রতিযোগী না থাকায় একাদশে নিয়মিত সুযোগ পেতে পারেন তিনি। তবে মঈন, লিভিংস্টোনরাও হাত ঘুরাতে পারেন। উইকেট আর কন্ডিশন বিবেচনায় দলের প্রয়োজনে এই দুইজনকে ব্যবহার করতে পারেন বাটলার।


অস্ট্রেলিয়ার পেস বান্ধব কন্ডিশন মাথায় রেখে স্কোয়াডে পেসারদের আধিক্য দিয়েছে ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, মার্ক উডদের মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে আছেন রেইস টপলির মতো তরুণ পেসার। এই বিশ্বকাপে বাটলারের জন্য ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন টপলি। বিশেষ করে নতুন বলে দারুণ কার্যকরী এই পেসার। এই চার বিশেষজ্ঞ পেসারের সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন কারান,জর্ডান,স্টোকসের মতো পেস বোলিং অলরাউন্ডার।


ইংল্যান্ড স্কোয়াড: জস বাটলার (সি), মঈন আলি, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, রেইস টপলি, ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, অ্যালেক্স হেলস।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball