promotional_ad

অস্ট্রেলিয়াতে আরাধ্য শিরোপার দেখা পাবে নিউজিল্যান্ড!

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


আরো পড়ুন

নিউজিল্যান্ডের কোচ হিসেবে আর থাকছেন না স্টেড

৪ জুন ২৫
গ্যারি স্টেড, ফাইল ফটো

দিন কয়েক পরই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিশ্ব সেরা হওয়ার এই লড়াইয়ে সুপার টুয়েলভে ইতোমধ্যেই জায়গা নিশ্চিত করেছে আট দল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে এই আট দলের সম্ভবনা নিয়ে ধারবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। দ্বিতীয় দিনে থাকছে গতবারের রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে কাটা-ছেঁড়া।


গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডাবল সুপার ওভারের রোমাঞ্চ শেষে বাউন্ডারির সমীকরণে কপাল পুড়েছিল নিউজিল্যান্ডের। আর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করেছিল কিউইরা। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে শেষটা রাঙিয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। প্রথমবারের মতো আয়োজিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কিউইরা। অথাৎ তিন ফরম্যাটেই সর্বশেষ বিশ্ব আসরগুলোতে অন্তত ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে আরাধ্যই থেকে গেছে বিশ্বকাপ শিরোপা।


বড় আসরগুলোতে গত কয়েক বছর ধরেই এমন ধারবাহিক নিউজিল্যান্ড। বিশেষ করে আইসিসি ইভেন্টে। কন্ডিশন, শক্তিমত্তা এবং সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও সেরা চারে দেখা যেতে পারে তাদের। এই মিশনে মূলত অভিজ্ঞ দল নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠবে নিউজিল্যান্ড। আরব আমিরাত বিশ্বকাপের দল থেকে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি নিউজিল্যান্ডের এবারের দলে। ফিন এলেন এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল ছাড়া স্কোয়াডের বাকি ১৩ জন ক্রিকেটারই খেলেছেন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এই দুই ক্রিকেটারের প্রথম বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।


এবারের বিশ্বকাপে কিউইদের বড় শক্তির জায়গা পেস বোলিং ইউনিট। যেখানে অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট-টিম সাউদির সঙ্গে আছেন গতি তারকা লকি ফার্গুসন। নতুন বলে বোল্টের সুইং নিশ্চিত ভাবেই ভুগাবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। ইনিংসের শেষের দিকে নিখুঁত লাইন-লেন্থ আর ইয়র্কারে বেশ দক্ষ ফার্গুসন। তাছাড়া অ্যাডাম মিলনে কিংবা জিমি নিশামরাও কার্যকরী হবেন অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে। আসরে কিউইদের ভোগাতে পারে উইলিয়ামসন-গাপটিলের অফফর্ম। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাম্প্রতিক সময়ে রান খরায় ভুগছেন। তবে যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।


promotional_ad

কিউইদের ওপেনিংয়ে দেখা যাবে তরুণ ফিন অ্যালেনকে। তার সাম্প্রতিক ফর্ম এবং পাওয়ার হিটিং দক্ষতা নিশ্চয়ই বিবেচনা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট ১৬০ এর বেশি। সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে ১৩৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি হাফ-সেঞ্চুরিও আছে তার। ওপেনিংয়ে অ্যালেনের সঙ্গী হবেন ডেভন কনওয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং গড় ৫০ এর বেশি। বিশ্বকাপে ভালো শুরু এনে দেয়ার দায়িত্বও থাকবে তার কাঁধে।


আরো পড়ুন

এক বছর ঝুলিয়ে রাখার পর ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দিচ্ছে ওমান

১৫ ঘন্টা আগে
ফাইল ছবি

তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে দেখা যাবে মার্টিন গাপটিলকে। সর্বশেষ ৫ টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাট থেকে ৩০ এর বেশি রান এসেছে মাত্র একবার। তবে তার অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই টপ অর্ডার ব্যাটারের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি। এখনও পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলোতেই খেলেছেন তিনি।


চারে খেলবেন উইলিয়ামসন। ব্যাট হাতে সময়টা ভালো না কাটলেও বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার রেকর্ড আছে তার। বিশেষ করে বড় ম্যাচ সামনে এলেই যেন কথা বলতে শুরু করে উইলিয়ামসনের ব্যাট। গত আসরের ফাইনালে যেমন হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন ঠিক তেমনি সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও দলকে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বড় ম্যাচে বরাবরই সাবলীল থাকেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তাই বিশ্বকাপে নেতৃত্বের পাশাপাশি মিডল অর্ডার সামলানোর দায়িত্বও থাকছে তার ওপর।


মিডল অর্ডারে উইলিয়ামসনের সঙ্গে থাকছেন গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান এবং ড্যারেল মিচেল। এই তিনজনের মধ্যে যেকোনো দুইজ একাশে সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে ফিলিপস এবং মিচেল এগিয়ে থাকবেন। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করা ফিলিপস রানের মধ্যে আছেন। আর মিচেলের মিডিয়াম পেস তাকে একাদশে এগিয়ে রাখবে।


একাদশ নির্বাচন করতে গিয়ে লোয়ার মিডল অর্ডার নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়তে পারেন কিউই টিম ম্যানেজমেন্ট। জিমি নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েলের মধ্য থেকে একজনকে খেলাতে পারে ম্যানেজমেন্ট। আর উইকেট, কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষ বিবেচনায় একজন বাড়তি স্পিনার খেলালে সুযোগ পেতে পারেন ইস সোধি। তবে এখানে সোধিকে টেক্কা দেবেন মিচেল স্যান্টনার।


কিউইদের পেস ইউনিটে নেতৃত্ব দিবেন ট্রেন্ট বোল্ট। নতুন বলে এই অভিজ্ঞ পেসারের আগুন ঝড়ানো বোলিং প্রতিপক্ষের জন্য বরাবরই হুমকি। সঙ্গে সাউদিও তার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে নিংড়ে দেবেন। স্লগ ওভারে দারুণ কার্যকরী হতে পারেন ফার্গুসন। একটানা ১৪৫ কিমি. এর বেশি গতিতে বোলিং করতে পারা তার বড় শক্তির জায়গা। তাছাড়া লাইন-লেন্থ মেনে দারুণ সব ইয়র্কারও করতে পারেন তিনি। শুরুর একাদশে এই তিন বিশেষজ্ঞ পেসারকেই খেলাবে কিউই টিম ম্যানেজমেন্ট।


নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, অ্যাডাম মিলনে, ড্যারেল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, ইস সোধি ও টিম সাউদি।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball