ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট কম, ‘শত্রু’ ঘরের মাঠ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ফারুক ও নাফিসকে ধন্যবাদ দিলেন রিশাদ
১০ মে ২৫
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য যেন হ্যালির ধুমকেতুর মতো। কালে-ভদ্রে জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। সাম্প্রতিক সময়ে টাইগারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ কেবলই নিম্নমুখী। যেখানে বড় দায় ব্যাটারদের। এই সংস্করণের ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই, অথচ সেখানে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। বিশেষ করে স্ট্রাইক রেটের কারণে বরাবরই সমালোচিত হচ্ছেন ব্যাটাররা। টি-টোয়েন্টিতে কম স্ট্রাইক রেটের পেছনে সিংহভাগ দায় ব্যাটারদেরদের ইন্টেন্টে, তবে এখানে ঘরের মাঠের উইকেটেরও দায় দেখছেন শাহরিয়ার নাফিস।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে দলের মতোই ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। এই আসরে দেশের হয়ে সেরা রান সংগ্রাহক ছিলেন নাইম শেখ। ৭ ম্যাচে প্রায় ১১০ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭৪ রান। তাছাড়া মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস কিংবা সাকিব আল হাসান তাদের কেউই ১১৫ স্ট্রাইক রেটেও ব্যাটিং করতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন ধীর গতির ব্যাটিংয়ের পেছনে ব্যাটারদের মানসিকতাও অনেকাংশে দায়ী। কারণ ঘরের মাঠে খেলা টি-টোয়েন্টিগুলোতে ১৫০-১৬০ রান তোলাই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরের উইকেটে ব্যাটারদের জন্য বাড়তি কিছুই নেই। এমন উইকেটে লম্বা সময় ধরে খেলার ফলেই দেশের বাইরে গিয়ে নিজেদের মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হয় ব্যাটারদের।

নাফিস বলেন, 'সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিদেশ সফরে বাংলাদেশ সফলতা পায়নি কিন্তু আপনি যদি ঘরের মাঠে তাদের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান দেখেন তাহলে তারা কিন্তু ভালো দল। মাঝে-মধ্যে ঘরের মাঠের উইকেটের কারণে বাংলাদেশ দল তাদের খেলার ধরনে পরিবর্তন আনে, যে কারণে টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট নিচের দিকে।'
ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় মন কাঁদছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের
১২ ঘন্টা আগে
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। অথচ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও হেরেছে তারা। আর মূল পর্বে তো রীতিমতো ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা ছিল। কোনো ম্যাচেই জয় পায়নি তারা।
নাফিস বলেন, 'এটা নির্ভর করে আপনি কার বিপক্ষে খেলছেন, কোন কন্ডিশনে খেলছেন। প্রতিপক্ষ যদি ২০০ রান করে, তখন আপনি সেই লক্ষ্য তাড়া করতে চাইবেন। আপনাকে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ তাদের ৫০ শতাংশ টি-টোয়েন্টি ঘরের মাঠে খেলে। যেটা প্রত্যেক দলই করে এবং হোম কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।'
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হলেই শুধু যে, আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হবে এমনটা মনে করেন না নাফিস। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, উইকেট আর কন্ডিশন বুঝে আপনাকে ব্যাটিং করতে হবে। টি-টোয়েন্টিতেও ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ব্যাটিং করা উচিত।
নাফিস বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের টুর্নামেন্টে (এশিয়া কাপ), যেখানে শক্তিশালী দলগুলো খেলে এমনকি আপনি যদি বিশ্বকাপের কথা বলেন, আপনাকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যদি সেই কন্ডিশনে আপনাকে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে হয়ে তাহলে আপনাকে সেটা করতে হবে, আর যদি ১১০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করার মতো কন্ডিশন হয় তাহলে আপনাকে সেটাই করতে হবে। আপনাকে কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হবে।'