ওয়ার্নারের অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলছেন বোর্ডার
ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘ট্রফি না জিতলে এক মৌসুমে ৬০০—৭০০ রান করার দাম নেই’
১ মে ২৫
বল টেম্পারিং কাণ্ডের দুবছর পর স্টিভ স্মিথের অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ডেভিড ওয়ার্নারের ক্ষেত্রে সেটা আজীবনই থেকে যায়। তবে কদিন আগে নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছিল, বিগ ব্যাশের দলগুলোর আগ্রহের কারণে ওয়ার্নারের অধিনায়কত্বের আজীবন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এদিকে ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলছেন অ্যালান বোর্ডারও।
২০১৮ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউনে বল টেম্পারিং করেছিলেন স্মিথ, ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট। বল টেম্পারিং কাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ-ওয়ার্নার।

ক্রিকেটের সঙ্গে নেতৃত্ব থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেই সময়ের অধিনায়ক ও তার ডেপুটি। স্মিথকে মাত্র দুবছর নিষিদ্ধ করা হলেও ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা ছিল আজীবন। ঘটনার বছর চারেক পরে এসে বোর্ডার জানালেন, ওয়ার্নারের শাস্তিটা বেশি হয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে বোর্ডার বলেন, ‘সবার আগে আমি মনে করি, শাস্তিটা বেশি হয়ে গেছে...এটা তুলে নেওয়া হোক। তারা তো শাস্তি পেয়েছে। আমরা যে কাজটা ধরতে পেরেছি, তা অন্য দলগুলোও করে থাকে। সব দলের অধিনায়কেরা যদি বুকে হাত রেখে শপথ করেও বলেন “আমি এমন কিছু করিনি”, তাহলে তারা মিথ্যা বলছেন।’
শিরিষ কাগজ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে বল টেম্পারিং করা যায় বলে মনে করেন বোর্ডার। তিনি বলেন, ‘রিভার্স সুইং অনেক বড় দক্ষতা। ফ্ল্যাট উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের আউট করা যায়। একটি ভাবনা হলো, বল কখনো ছোঁয়া যাবে না, আর একটি হলো, বেশির ভাগই মনে করেন এটা করতে দেওয়া উচিত। কারণ, বল হাতে পেলে কী হয়...সময় নিয়ে ধীরে ধীরে বলটা আঁচড়ানো হয়, যেন রিভার্স সুইং পাওয়া যায়...এতে দোষের কী আছে?’
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে নিয়মিতই খেলছেন ওয়ার্নার। জাতীয় দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মতো টুর্নামেন্টেও খেলেছেন তিনি। এদিকে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি জিতেছিলেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।