ডি ককের কণ্ঠে ওয়ানডে ক্রিকেটের জয়গান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাজস্থানে নীতিশের বদলি সাউথ আফ্রিকার ‘নতুন’ ডি কক
৮ মে ২৫
বেন স্টোকসের বিদায়ের পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ক্রিকেটের ওয়ানডে সংস্করণ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে সবার আগে সন্দেহ প্রকাশ করেন ভারতের স্পিন অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কদিন আগে একই রকম কথা শুনিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তারপর ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাদ দেয়ার পক্ষে মত দেন পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামও। বাদ দেয়ার কথা না বললেও ওয়ানডে ক্রিকেটকে 'মৃত' বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার উসমান খাওয়াজাও। এমন দুর্দিনে ওয়ানডে ক্রিকেটের পক্ষেই থাকলেন কুইন্টন ডি কক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিরিজের পর সিরিজ থাকায় ক্রিকেটাররা সেভাবে বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না। শারীরিক ও মানসিক ধকল কমাতে এ কারণেই ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়েন স্টোকস। সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের ব্যস্ত সূচি দেখে শঙ্কা প্রকাশ করেন অনেক ক্রিকেটারও।
এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। বিশ্বজুড়ে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রাজত্ব। যেখানে ক্রিকেটাররা অল্প কদিন খেলেই বেশি অর্থ উপার্জন করছেন। এ কারণেই প্রশ্ন উঠছে ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

তবে ওয়ানডে ক্রিকেট ভালোভাবেই থাকবে বলে বিশ্বাস ডি ককের, ‘ওয়ানডে তো ভালোই করছে। এর ভবিষ্যৎ আছে আর আমরাও এখনো ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিততে চাই। এই সংস্করণে এখনো অনেক কিছুই আছে।’
অবশ্য আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী তিন সংস্করণে খেলে যাওয়া যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই অনেক কঠিন বলে মনে করেন ডি কক। এক্ষেত্রে সিনিয়র ক্রিকেটাররা বেছে বেছে খেললে সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি।
সাউথ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক আরও বলেন, ‘ক্যারিয়ারকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে তরুণ বয়সে তিন সংস্করণেই খেলা উচিত। বয়স বাড়লে কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে কারণ শরীর সায় দেয় না।’
‘খেলোয়াড়দের জন্য বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠছে—তিন সংস্করণে অনেক খেলা এবং সূচি ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে। খেলোয়াড়দের তাই ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কেউ যদি তিন সংস্করণই চালিয়ে যেতে পারে, তাহলে ভালো। কিন্তু বাকিদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়।’