সবাই আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে: পুরান

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পুরানের মতো আরও ক্রিকেটার ভুল পথে পা বাড়াবেন, ধারণা স্যামির
১১ জুন ২৫
শুরুতে নো বলে বোল্ড এবং পরবর্তীতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ না নেয়ায় বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মাহমুদউল্লাহকে দুবার আউট করার সুযোগ লুফে নিতে না পারায় পুরানকে সবাই মেরে ফেলতে চাইছে। ম্যাচ শেষে এমনটা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ২১তম ওভারে। পুরানের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ওভারস্টেপিং করায় সাজঘরে ফিরতে হয় না সেই সময় ২০ রানে অপরাজিত থাকা ডানহাতি এই ব্যাটারকে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ২৫তম ওভারে।

পুরানের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারির নিচু হওয়া বলে অ্যাক্রোস দ্য লাইনে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ডানহাতি এই ব্যাটার লাইন মিস করলে বল সরাসরি তার সামনের পায়ের প্যাডে লাগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জোরালো আবেদন করলেও আম্পায়ার জো উইলসন তাতে সায় দেয়নি। রিভিউ নেয়ার সুযোগ থাকলেও তা করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রাসেলের ব্যাট দিয়ে ১১ ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিলেন ডেভিড
১ ঘন্টা আগে
রিপ্লেতে দেখা যায় বল লাইনে পড়ে লেগ স্টাম্পে আঘাত করে। রিভিউ নিলে ২২ রানে ফিরে যেতে হতো মাহমুদউল্লাহকে। তবে রিভিউ না নেয়ায় দ্বিতীয় যাত্রায় বেঁচে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মূলত বল খানিকটা বেশি বাঁক খেয়েছিল বলেই রিভিউ নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে পুরান বলেন, ‘অবশ্যই প্রত্যাশিত নয়। আমি জানি ছেলেরা আমাকে এ জন্য মেরে ফেলবে। এটা অবশ্যই হতাশার। মাহমুদউল্লাহর হয়তো ভাগ্যটা ভালো ছিল। আমি নিজেই অবাক হয়েছিলাম। কারণ বলটা অনেক বাঁক খেয়েছিল। শেই (শেই হোপ) বলছিল, বলটা নাকি বেশিই বাঁক খেয়েছে। আমিও তা-ই বলছিলাম। বাকিরা অবশ্য বলছিল রিভিউ নিতে। কারণ তাদের মনে হয়েছে সেটা নিশ্চিত আউট ছিল।’
‘আমি তাদের কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম। এখন তো সবাই আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে। কোচ, ক্রিকেটার সবাই। আমার রিভিউ নেওয়া উচিত ছিল। কারণ দুটি রিভিউ ছিল আমাদের হাতে। কে জানে, হয়তো রিভিউটা নিলে খেলাটা বদলে যেতে পারত। তখনো ৩৫-৪০ রান দরকার ছিল তাদের।’