অবশেষে বিজয়, দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিলো বাংলাদেশ

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন

১৭ ঘন্টা আগে
বোলিংয়ের সময় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অবশেষে পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটে এলো সেই কাঙ্কিত জয়। পবিত্র ঈদুল আযহার মধ্যরাতে ক্যারবিয়ানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে দেশবাসীকে যেন উপহার দিলো তামিম ইকবালের দল।


ভেজা আউটফিল্ডের কারণে এ দিন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে টস অনুষ্ঠিত হয়। দুই দলের ওভার কমিয়ে দেয়া হয় ৪১-এ। ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এ দিন শুরু থেকেই বেশ ধীরগতিতে খেলতে থাকেন লিটন দাস। বেশীক্ষণ উইকেটেও থাকতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান এই ওপেনার।


৯ বলে এক রান করে আকিল হোসেনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফিরেছেন তিনি। লিটন অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় তাকে। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে দলীয় ৯ রানে।


তারপর আগ্রাসী খেলতে খেলতে রানআউট হয়ে বিদায় নিয়েছেন তামিম। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে অ্যান্ডারসন ফিলিপের হাতে রান আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নিয়েছেন তিনি। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কার মার। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৪৯ রানে।


তামিম বিদায় নেয়ার পর থেকেই সতর্ক হয়ে খেলতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই বেশ ধীরে-সুস্থে খেলে বাংলাদেশের রান বাড়াতে থাকেন। অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে যেন উইকেট না হারিয়ে বসে বাংলাদেশ- সেদিকেই লক্ষ্য ছিল তাদের।


যদিও দলীয় একশ রান হওয়ার আগে ফিরে যান শান্ত। ৪৬ বলে ৩৭ রান করে গুদাকেশ মোতির বলে নিকোলাস পুরানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই শান্তর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


promotional_ad

ম্যাচ জিততে তখন দরকার আর ৩৯ রান। জয়ের দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তখনই আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেয়ার ইঙ্গিত দেন নিকোলাস পুরান। পুল শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ।


আরো পড়ুন

রাসেলের ব্যাট দিয়ে ১১ ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিলেন ডেভিড

১ ঘন্টা আগে
টিম ডেভিড, ফাইল ফটো

মিড অন থেকে পিছিয়ে গিয়ে সেই ক্যাচ লুফে নেন ফিলিপ। আফিফ বিদায় নেন ১৭ বলে ৯ রান করে। অবশ্য তারপর আর বিপদে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান সোহান দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাহমুদউল্লাহ করেন ৬৯ বলে ৪১ রান। সোহানের ব্যাটে আসে ২৭ বলে ২০ রানের ইনিংস। ৫৫ বল বাকি থাকতেই খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।


এর আগে টস জিতে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের চেপে ধরেছিলেন টাইগার বোলাররা। বল হাতে সবচেয়ে দুর্দান্ত ছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি ৩৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর মিরাজের দখলে গেছে ৩ উইকেট। বল হাতে দারুণ মিতব্যয়ী ছিলেন অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। তিনি ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিলেও উইকেট পাননি।


ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসারের ইনসুইং ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড আউট হন শাই হোপ। ফর্মে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে। পরের ওভারে ফিরতে পারতেন শামাহ ব্রুকসও। নাসুম আহমেদের গুড লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।


জোরালো আবেদনে আউটও দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রুকস। আল্ট্রা এজে দেখা যায় ব্যাট প্যাডে আঘাত করায় স্পাইক হয়েছে। বল ব্যাট পার হওয়ার সময়ও আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখা যায়। যে কারণে টিভি আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তখন অধিনায়ক তামিম ইকবাল দুই আম্পয়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান।


এরপর কাইল মেয়ার্স ও ব্রুকস মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে কভার দিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মেয়ার্স। কিন্তু বাড়তি বাউন্স থাকায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ১০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। মেয়ার্স ফেরার পর ব্রেন্ডন কিং ও ব্রুকস মিলে প্রতিরোধ গড়েন।


দ্রুত রান তুলতে না পারলেও উইকেট হারাননি তারা। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ দেন ৮ রান করা কিং। পরের বলে সাজঘরে ফেরেন ব্রুকসও। শরিফুলের ওয়াইড লাইনের লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ধীরগতিতে ৬৬ বলে ৩৩ রান করেছেন ব্রুকস।


দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারি অনায়াসে খেলে তাকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি রভম্যান পাওয়েল। এরপর বোলিংয়ে এসে পাওয়েলকে ফেরান মিরাজ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে খানিকটা টার্ন করে লেগ স্টাম্প বরাবর প্যাডে আঘাত করলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন পাওয়েল।


নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে পারতেন নিকোলাস পুরান। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। যদিও ক্যারিবীয়রা রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্পের বাইরে হিট করেছে। ফলে সে সময় টিকে যান পুরান।


এরপর পুরানকে রান আউট করে দিয়েছিলেন উইকেটকিপার সোহান। তবে আম্পায়ার তখন আউট দিয়ে দেয়ায় বল ডেড হয়ে গিয়েছিল বলে জীবন পান ক্যারিবীয় অধিনায়ক। যদিও পরের ওভারেই মিরাজ পুরানকে ব্যক্তিগত ১৮ রানে বোল্ড করে ফেরান।


আকিল হোসেনকে উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি মিরাজ। মুস্তাফিজুর রহমানের করা অফ সাইডের বাইরে বল পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন রোমারিও শেফার্ড। যদিও সেখানে ফিল্ডিং করা মিরাজ ডিরেক্ট থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন। ফলে ৩ রান করা আকিলকে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে। ব্যক্তিগত ৪ রানে মুস্তাফিজের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন গুদাকেশ মোতি।


যদিও ব্যাটে-বলে ঠিক মতো হয়নি। সেখানে ফিল্ডিং করা শরিফুল ইসলাম ডাইভ দিলেও বল হাতে জমাতে পারেননি তিনি। এরপর বোলিংয়ে এসে ১৬ রান করা শেফার্ডকে আফিফের ক্যাচ বানিয়ে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন শরিফুল। দুই বল পরে ৬ রান করা মোতিকেও আউট করেছেন তিনি। শেষদিকে বেশ কিছু ক্যাচ মিসে ক্যারিবীয়দের ইনিংসের দৈর্ঘ্য বাড়ে। দশম উইকেটে ৩৯ রান যোগ করেছেন জেইডেন সিলস ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ। তাদের দুজনের জুটিতেই দেড়শো রানের লক্ষ্য দিয়ে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফিলিপ ২১ ও সিলস ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-


ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৪৯/৯ (৪১ ওভার) (ব্রুকস ৩৩, পুরান ১৮, শেফার্ড ১৬, ফিলিপ ২১*, সিলস ১৬*; মিরাজ ৩/৩৬, শরিফুল ৪/৩৪)


বাংলাদেশ- ১৫১/৪ (৩১.৫ ওভার) (মাহমুদউল্লাহ ৪১*, শান্ত ৩৭, তামিম ৩৩; মোতি ১/১৮)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball