নিজের ফর্ম নিয়ে একটুও চিন্তিত নন মুমিনুল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বোলিংয়ে মিরাজের উন্নতি, ব্যাটিংয়ে শান্ত-মুমিনুল-জাকের
৩০ এপ্রিল ২৫
নিজের খেলা শেষ দশ ইনিংসে কেবল একটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকাতে পেরেছেন মুমিনুল হক। নিজের অফ-ফর্ম নিয়ে তবুও চিন্তিত নন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। একটি ভালো ইনিংসই ফর্মের গতিপথ বদলে দেবে বলে বিশ্বাস তার।
২০১৯ সালের শেষ দিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুই টেস্টেই ব্যর্থ ছিলেন মুমিনুল। এমনকি দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি তিনি। এই চার ইনিংসে তার রান ছিল যথাক্রমে ৬, ০, ১ ও ৭।
চলতি বছরের শুরুতে অবশ্য দারুণ এক ইনিংস খেলেন মুমিনুল। বাঁহাতি এই ব্যাটার ঐতিহাসিক মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেন ৮৮ রান। পরের ইনিংসে দলকে জেতানোর পথে করেন অপরাজিত ১৩ রান।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে আবারও সেই অফ-ফর্ম অব্যাহত রাখেন তিনি। প্রথম ইনিংসে শুন্য রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৩৭ রান। এরপর সদ্য সমাপ্ত ডারবান টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২ রান করার দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশকে সম্মান করি, ওরা টি-টোয়েন্টির নতুন ধাঁচে মানিয়ে নিয়েছে: ডেসকাট
৪ ঘন্টা আগে
ম্যাচ শেষে নিজের অফ-ফ??্ম প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে মুমিনুল বলেন, 'নিজের ফর্ম নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন না। কোনোভাবেই আমার মনে হচ্ছে না, আমি খারাপ কোনো অবস্থায় আছি। কোনোভাবেই আমি উদ্বিগ্ন না। একটা ভালো ইনিংস খেললে আমার মনে হয়, আমি আবার আগের পর্যায়ে চলে আসব।'
ডারবান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ২৯৮ রান তোলে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়ারা তোলে ২০৪ রান। এরপর মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সফরকারীরা ম্যাচটি হারে ২২০ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ভরাডুবির দায় অবশ্য এড়িয়ে যাননি তিনি, 'আমার মনে হয়, আমার দায়টা অনেক বেশি ছিল। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বটা অনেক বেশি ছিল। যেটা আমি নিতে পারিনি দুই ইনিংসেই। প্রথম ইনিংসেও পারিনি, দ্বিতীয় ইনিংসেও পারিনি।'
'আমার কাছে মনে হয়, দায়টা পুরোপুরি আমারই ছিল। দলকে আমি সেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি। অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসেই আমার দলকে আরও ভালোভাবে লিড দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত।'