promotional_ad

প্রস্তুতিবিহীন মাহমুদউল্লাহর বড় অস্ত্র 'মানসিক ভারসাম্য'

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট দলে ছিলেন না ১৭ মাস। ছিলেন না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুতে ঘোষিত টেস্ট স্কোয়াডেও। তবে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ইনজুরি সমস্যায় শেষ মুহূর্তে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে যোগ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরা। তারপরও শঙ্কা ছিল মাহমুদউল্লাহ'র প্রথম টেস্টের একাদশে থাকা নিয়ে।


৭ জুলাই সব শঙ্কা উড়িয়ে টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পান মাহমুদউল্লাহ। ১৭ মাস পর টেস্ট স্কোয়াডে ফিরে সব সমালোচনা পেছনে ফেলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। এরপর টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৫০ রানের ইনিংসটাও খেলেন তিনি।


শুধু তাই নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার পর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে গড়েন ১৯১ রানের জুটি। যা নবম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। তাকে সঙ্গ দেয়া লিটন ফেরেন ৯৫ রানে, তাসকিন আউট ৭৫ রানে।



promotional_ad

লম্বা সময় পর ফেরা মাহমুদউল্লাহ এই টেস্ট দিয়ে নিজের সামর্থ্যের আবারও জানান দিয়েছেন। তবে মাঝের সময়টায় লাল বলে কোনো ম্যাচও খেলেননি তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলে গিয়েছেন লাল বলে খেলতে।


কোন প্রকার বড় প্রস্তুতি ছাড়াই এমন ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ বিসিবির দেয়া এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, মানসিক ভারসাম্য ঠিক থাকার কারণে এমন ইনিংস খেলতে পেরেছেন তিনি। সেই সঙ্গে টেকনিকালভাবে মানিয়ে নেয়ার চেয়ে মানসিকভাবে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জটাই বেশি ছিল তার কাছে। 


মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'এতটা সহজ ছিল না কারণ গত প্রায় দেড় বছর লাল বলের ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। এই সফরের আগেও প্রথমে স্কোয়াডে ছিলাম না, পরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারপর থেকে মনোযোগ ছিল সুযোগ পেলে যেন পারফর্ম করতে পারি।'


'টেকনিক্যাল ভাবে মানিয়ে নেয়ার বিষয় যতটা ছিল তার চেয়েও মানসিকভাবে মানিয়ে নেয়ার বিষয়টা বেশি ছিল। যেহেতু অনেক দিন লাল বলে খেলিনি। চিন্তা করেছি কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়। বোলারদের নিয়ে চিন্তা করেছি, কে কখনও কতটুকু সিমের সাহায্যে বল করে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে মানসিক ভারসাম্য ভালো থাকার কারণে ব্যাটিং ভালো হয়েছে' আরও যোগ করেন তিনি।  



দীর্ঘ দিন পর লঙ্গারভার্সনে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করার একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মাহমুদুল্লাহর। তিনি সেটা পেড়েছেন বটে। সঙ্গে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তিনি মনে করছেন, তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে আছে মুমিনুল হকের দল।


মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, নিজেকে প্রমাণের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি যে দলে অবদান রাখতে পেরেছি। আজকে বোলাররাও খুব ভালো বোলিং করেছে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এখন টেস্টের চালকের আসনে আছি। কালকের দিন নির্ধারণ করবে আমরা কতদূর আগাই। এখনও খেলা অনেকটুকু বাকি। আলহামদুলিল্লাহ, ইনিংসটা ভালো হয়েছে। দলের জন্য অবদান রাখা সবসময় আনন্দের, সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball